সারা বাংলা

সংসদীয় কমিটির রেশম কারখানা পরিদর্শন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা রাজশাহী রেশম কারখানার বর্তমান কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন। শুক্রবার দুপুরে কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে সদস্যরা কারখানা পরিদর্শনে যান। এ সময় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রেশম কারখানায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া ৫টি পাওয়ার লুমের বিভিন্ন পর্যায় ঘুরে দেখেন। তারা বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড থেকে উৎপাদিত সুতা দিয়ে কারখানায় তৈরি করা খাঁটি রেশম কাপড় এবং রেশম কারখানার বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। উচ্ছ্বসিত হন কারখানায় তৈরি গরদের কাপড় ও সুপার বলাকা দেখে। কারখানা পরিদর্শনকালে কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, রেশম শিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর সুষ্ঠু সমন্বয়, পরিকল্পনা ও তদারকি প্রয়োজন। রেশম বোর্ড এবং রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট একত্রে হলেও সমন্বয়ের জন্য দ্রুত সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদন হওয়া প্রয়োজন। ২০২১ সালের মধ্যে রেশমের উৎপাদন ১০০ মেট্রিক টনে উন্নীত করার টার্গেট নিয়ে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, পাট ও রেশমের সমন্বয়ে নতুন পণ্য তৈরি করা যায় কি না সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের গবেষণা করতে হবে। সরকারের ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের জন্য তুঁতপাতা ও রেশম কীট আরও উন্নত করতে হবে। এ সময় রেশম বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এনামুর রহমান, সাবিনা আক্তার তুহিন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল, তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, রাজশাহীর গর্বের এই প্রতিষ্ঠানটি লোকসানের অজুহাতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা থাকলে কারখানা লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ দেওয়া যেত। আবারও রেশমের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চান বলে জানান তিনি।  রাইজিংবিডি/রাজশাহী/১০ আগস্ট ২০১৮/তানজিমুল হক/বকুল