সারা বাংলা

কিশোরগঞ্জের খামারিরা ভারতীয় গরু নিয়ে আতঙ্কে

কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা: পশুর হাট জমে না উঠলেও প্রতিদিনই সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা গরু কিনতে আসছে কিশোরগঞ্জে। গরু কিনতে যোগাযোগ করছে খামারিদের সঙ্গে। তবে বিদেশি বা ভারতীয় গরু নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন খামারিরা। তারা বলছেন, ভারত থেকে গরু এলে দেশি গরুর দাম কমে যাবে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা। সামনে কোরবানি ঈদ। শেষ মুহূর্তে এসে কিশোরগঞ্জের খামারগুলোতে কোরবানির পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। খামারি ছাড়া অনেক চাষিও কোরবানির গরু লালন পালন করছেন। সারা জেলায় অন্তত লক্ষাধিক গরু দেশীয় ও নিরাপদ পদ্ধতিতে লালন-পালন করা হচ্ছে। কোরবানির হাটগুলোতে উঠানো হবে এগুলো। খামারিরা বলছেন, মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর কোনো ওষুধপত্র দেওয়া হচ্ছে না গরুকে।  

জেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগের দাবি, চাহিদার তুলনায় এ জেলায় গরু সংখ্যা বেশি। কাজেই বিদেশ থেকে গরু না এলেও কোরবানির বাজারে কোনা প্রভাব পড়বে না। স্থানীয় খামারিদের সাথে কথা হলে তারা জানান, গরু মোটাতাজাকরণে দেশীয় পদ্ধতি ব্যবহার করছেন তারা। খরচের কথা চিন্তা না করে ঘাস, কুড়া, ভূষি, লালি, গুড়সহ বিভিন্ন পুষ্টিকর দানাদার খাদ্য দিয়ে গরু লালন পালন করছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলছেন, এবার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সারা জেলায় দেশীয় পদ্ধতিতেই লক্ষাধিক গরু মোটাতাজা করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন খামারিরা। রাইজিংবিডি/কিশোরগঞ্জ/১৩ আগস্ট ২০১৮/রুমন চক্রবর্তী/টিপু