সারা বাংলা

ফরিদপুরে পশুর হাট জমজমাট

ফরিদপুর প্রতিনিধি : কোরবানির ঈদ সামনে রেখে জমে উঠেছে ফরিদপুরের পশুর হাট। হাট ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখরিত। এ বছর ফরিদপুর জেলায় ২২ হাজার ৭৬৭টি গরু ও ১৩ হাজার ৭৯৭টি ছাগল-ভেড়া কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস। ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা এলাকায় বসে জেলার বৃহৎ পশুর হাট। কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, যশোর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জসহ আশপাশের জেলার ক্রেতা-বিক্রেতারা এখানে আসেন। জেলার নয়টি উপজেলায় আরো অর্ধশতাধিক স্থানে পশুর হাট বসে। ক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে পশুর দাম একটু বেশি। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে লালন পালন করা গরুর কদর ও মূল্য বেশি হওয়ায় খুশি তারা। শেষ সময়ে এসে কেনাবেচা বেড়েছে। ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা পশুর হাট ইজারাদার প্রতিনিধি নাফিজুর রহমান তাপস জানান, ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সদস্যরা সক্রিয় রয়েছে। সিএ্যান্ডবি ঘাটসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েক বছর ধরে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে পশুর হাট বসে। দিনে দিনে এ সব হাট জনপ্রিয় হচ্ছে। সিএ্যান্ডবি ঘাটের হাটের আয়োজক ও ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির জানান, স্থানীয়দের সেবা দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে এ হাটের আয়োজন। প্রতিনিয়ত বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটছে এ হাটে। তিনি জানান, ক্রেতা-বিক্রেতার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন তারা। ফরিদপুর প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্র জানায়, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ফরিদপুরে ২২ হাজার ৭৬৭টি গরু ও ১৩ হাজার ৭৯৭টি ছাগল-ভেড়া বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। পশু সংকট হবে না জানিয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হারুন অর রশীদ জানান, পশুর মান রক্ষায় হাটে কাজ করা হচ্ছে। রাইজিংবিডি/ফরিদপুর/১৮ আগস্ট ২০১৮/মো. মনিরুল ইসলাম টিটো/বকুল