সারা বাংলা

সিলেটের ১১ হাটেই গরুর ছড়াছড়ি, বিক্রি বাড়বে আজ থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট: সিলেট নগরীর সর্ববৃহৎ পশুর হাট কাজিরবাজারে দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে বাহাদুর। লালচে রংয়ের বাহাদুরের দাম হাঁকা হয়েছে দশ লাখ টাকা। পাঁচলাখ টাকা দাম উঠলেও এই দামে বাহাদুরকে বিক্রি করছেন না তার মালিক। গরুর মালিকের দাবি, এটিই এই হাটের সবচেয়ে বড় গরু। তাই আরও বেশি দাম পাওয়ার প্রত্যাশা তার। নগরীর দক্ষিণ সুরমার একটি এগ্রো ফার্মে বড় হওয়া গরুটি মোটাতাজাকরণে কোনপ্রকার ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি বলেও জানালেন তিনি। শুধু বাহাদুরই নয়, কাজিরবাজারে আরও বেশ কয়েকটি বিশাল সাইজের গরু বিক্রির জন্য তুলেছেন বেপারিরা। এসব গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে তিন থেকে ৬ লাখ টাকা। এছাড়া ছোট-বড়-মাঝারি সাইজের প্রায় ৫ হাজার গরু এসেছে এ হাটে। সিলেটের হাটগুলোতে পর্যাপ্ত পশু এসেছে। এছাড়া ট্রাক ভর্তি করে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকেও পশু আসছে। দেশি গরুর চাহিদা থাকায় এবার গরুর দামও ভালো। এছাড়া এবার সীমান্তে কড়াকড়ি থাকায় সিলেটের হাটে ভারতীয় পশুর দেখা মেলেনি। কুষ্টিয়া থেকে ১২টি গরু নিয়ে আসা কাজিরবাজারে এসেছেন আনিসুজ্জামান। তিনি জানান, তার একেকটি গরু তিন লাখ টাকা দর চাইছেন; তবে ক্রেতারা সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা দাম করেছেন বলেও জানান তিনি। চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা বেপারি সানোয়ার হোসেন জানান, তিনি এবছর ৮টি গরু, ১৫ টি ভেড়া ও ৫ টি ছাগল হাটে তুলেছেন। এর মধ্যে শুক্রবার রাতে ৮৫ হাজার টাকায় একটি এবং শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ৭০ হাজার এবং ৯০ হাজার টাকায় তিনি আরো দুটি গরু বিক্রি করেছেন। সানোয়ার জানান, হাটে ক্রেতা কম। এছাড়া অনেকে দরদাম করে চলে যাচ্ছেন। সিলেটে ঈদের আগের দু’দিনের সবচেয়ে বেশি পশুর বিক্রি হয়ে থাকে। আজ থেকে বিক্রি বাড়বে বলে আশাবাদি তিনি। এদিকে, নগরীর শাহী ঈদগাহ দলদলি চা বাগানের রাবার বাগান এলাকায় একটি অবৈধ পশুর হাট শনিবার উচ্ছেদ করেছে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন। এর আগে শুক্রবার রাতে লাক্কাতুরা চা বাগান এলাকায় আরেকটি অবৈধ পশুর হাট উচ্ছেদ করেছে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব জানান, ‘নগরীর কাজিরবাজার পশুর হাট ছাড়াও এসএমপি’র ছয় থানা এলাকায় ১১টি হাটের ইজারা প্রদান করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাই এগুলোই বৈধ হাট। এর বাইরে কোথাও হাট বসতে দেওয়া হবে না।’ পড়ুন : রাইজিংবিডি/সিলেট/১৯ আগস্ট ২০১৮/নোমান/টিপু