সারা বাংলা

ক্রিকেটার সৈকতের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ : ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বিরুদ্ধে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া ও অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন স্ত্রী সামিয়া শারমীন। ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১ নম্বর আমলী আদালতে রোববার বিকেলে যৌতুক নিরোধ আইনে এই মামলাটি করা হয়। মামলায় সৈকতের মা পারুল বেগমকেও আসামী করা হয়েছে। অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা খান ময়মনসিংহের মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ দিয়েছেন। মামলার বর্ণনায় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও তার মায়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়। বলা হয়, গত ২০১২ সালে পারিবারিকভাবে আপন খালাতো ভাই মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সাথে বিয়ে হয় শহরের আকুয়া চৌরঙ্গী মোড় এলাকার সামিয়া শারমীনের। বিয়ের পর সৈকত ময়মনসিংহের কাঁচিঝুলির নিজ বাসায় সামিয়াকে রেখে বেশিরভাগ সময় খেলার কাজে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় থাকতেন। এসময় সৈকত পরিচয়ের সূত্র ধরে নানা জনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় স্ত্রী সামিয়ার ওপর শুরু হয় বর্বর ও অমানুষিক নির্যাতন। একবার শারীরিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে সামিয়ার গর্ভপাত ঘটে। তারপরও থেমে থাকেনি অত্যাচার-নির্যাতন। সর্বশেষ ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে সামিয়ার ওপর নতুন করে নির্যাতন চালায় সৈকত। তার সাথে যোগ হয় শাশুড়ির অকথ্য নির্যাতন। গত ১৫ আগস্ট, ২০১৮ তারিখে বাপের বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য সৈকত ও তার মা তাকে বেদম মারধর করে। এ খবরে পরিবারের সদস্যরা সামিয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আদালতে মামলা করার পর সামিয়া বলেন, ‘আমি এর সুষ্ঠু ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই’। রাইজিংবিডি/ময়মনসিংহ/২৭ আগস্ট ২০১৮/শেখ মহিউদ্দিন আহাম্মদ/টিপু