সারা বাংলা

ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হত্যায় মামলা, গ্রেপ্তার ২

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এবং জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম মোশাররফ হোসেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। নিহত চেয়ারম্যানের মেয়ে সাদিয়া ইসলাম বাদী হয়ে রোববার রাতে মামলটি দায়ের করেছেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ ও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলা নং-৬। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এজাহার নামীয় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন- এজাহার নামীয় ১০নং আসামি মোজাফফর হোসেন ও ১৪নং আসামি লাল্টু। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান কে এম মোশাররফ হোসেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় চেয়ারম্যানের মেয়ে সাদিয়া ইসলাম বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এক নং আসামি করা হয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল গাইনকে। দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। ওসি আরো জানান, এই হত্যার নেপথ্য কারণ নির্ণয়ে পুলিশ মাঠে নেমেছে। স্থানীয় সাপখালি খাল উন্মুক্ত করা নিয়ে তার সাথে বিরোধ ছিল অনেকের। একই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল জলিলের সাথে চরম বিরোধ চলছিল চেয়ারম্যানের। সম্প্রতি আবদুল জলিল বেশ কয়েকজন লোককে সাথে নিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের আবু মালাইকার বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। তিনি এলাকার লোকজন জমি ও বাড়ি দখল করছেন।’ এ ছাড়া সম্প্রতি স্থানীয় মহসীন ডাকাতকে কে বা কারা কৃষ্ণনগর বাজারে কুপিয়ে জখম করে। মহসীন ডাকাত চেয়ারম্যান মোশাররফের বিরোধী লোক। এলাকায় চেয়ারম্যানের সাথে অনেকের রয়েছে রাজনৈতিক বিরোধ। ওসি জানান, এসব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত কাজ চলছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কৃষ্ণনগর বাজারে যুবলীগ অফিসে বসেছিলেন চেয়ারম্যান কে এম মোশাররফ হোসেন। এ সময় পাঁচ/ছয়জন যুবক তিনটি মোটরসাইকেলে এসে বাজারে কয়েকটি ককটেল বোমা ফাটায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে দোকানপাট বন্ধ হওয়ার সুযোগে সন্ত্রাসীরা যুবলীগ অফিসে ঢুকে চেয়ারম্যানের গালে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। এরপরও তারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। কালিগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়ার পর চেয়ারম্যান মারা যান। রাইজিংবিডি/সাতক্ষীরা/১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮/এম. শাহীন গোলদার/সাইফুল