সারা বাংলা

হুমকির মুখে খুলনার তিন উপজেলার শত কিলোমিটার

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা: হুমকির মুখে রয়েছে খুলনার উপকূলবর্তী তিন উপজেলার অন্তত ১শ’ কিলোমিটার বাঁধ। যে কোন সময়েই ভেঙে প্লাবিত হতে পারে বাঁধসংলগ্ন বিস্তীর্ণ জনপদ। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা এ বাঁধ ভেঙে গেলে প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির শংকায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।                                                                                                                                                                                                                                                                খুলনার এই উপজেলাগুলো হচ্ছে- দাকোপ, পাইকগাছা ও কয়রা। জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির গত আগস্ট মাসের সভায় এ তথ্য তুলে ধরা হলেও আজ অবধি এ ব্যাপারে জোরালো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে সম্পূর্ণ বাঁধ মেরামত করা যাচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে। সভার প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়রা উপজেলার ১৩০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ৪০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ। এ উপজেলার শাকবাড়িয়া নদীর ভাঙ্গনে জোরশিং গ্রাম হুমকির মুখে। মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়া নামক স্থান যে কোন সময় প্লাবিত হতে পারে। পাইকগাছা উপজেলার আগড়ঘাটা এলাকায় নদীতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। দাকোপ উপজেলার চালনা বাজারসহ কয়েকটি এলাকা ভাঙ্গনের মুখে। রূপসা উপজেলার কাস্টমঘাটের পূর্ব পাড়েও নদীর ভাঙণে অনেকেই বিপদের মুখে পড়েছে। কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আ.খ.ম. তমিজ উদ্দিন জানান, তার উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নই রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে। দাকোপ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসেন জানান, সেখানের ৩২ ও ৩৩ নম্বর পোল্ডারের বাঁধ সমূহের নির্মাণ কাজ ধীর গতিতে চলছে। ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর ৩০ নম্বর পোল্ডারের ৩ নম্বর স্লুইসগেটটি দ্রুত সংস্কারের দাবি করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা-২’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী জানান, দাকোপ উপজেলার ঢাকি নদীর খনা নামক স্থানে ৯০ মিটার, মেদেরচরে ২০ মিটার, তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের আঁধার মানিক এলাকায় ফাঁটল দেখা দিয়েছে। বটিয়াঘাটা উপজেলায় কাজিবাছা নদীর তীরে কিসমত ফুলতলা নামক স্থানে ১৮০ মিটার, পাইকগাছা উপজেলার শিপসা নদীর কুমখালি নামক স্থানে ৪৫ মিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত। বাঁধ সংস্কারের জন্য ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার কাজ চলছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক।

 

 

রাইজিংবিডি/খুলনা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮/ মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/টিপু