সারা বাংলা

ওরা আট জন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : ওরা আট জন। কিশোর বয়সী বা স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের কারো হাতে দামি স্মার্টফোন থাকলেই সে-ই টার্গেট এদের। আর টার্গেটকে এরা মুরগি নামেই ডাকে। সংঘবদ্ধ হয়ে কৌশলে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়াই হচ্ছে তাদের কাজ। কোতয়ালী থানার সিআরবিসহ নগরীর নিরিবিলি এলাকায় এরা অবস্থান নিয়ে শিকার ধরতে ওঁত পেতে থাকে। এই সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের আট সদস্যকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো - মাহমুদুর রহমান মাহিম (১৮), সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় (১৮), মেহেদী হাসান রবিন (১৯), আহাদুল ইসলাম প্রকাশ রায়হান (২০), মো. ইউসুফ (২০), মো. গোলাম হাসান (১৮), মো. ইয়ামিন হোসেন (১৯), মো.হাবিবুর রহমান হৃদয় (২০)। কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসিন রাইজিংবিডিকে জানান, এই ছিনতাইকারীরা দিনের বেলা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যেখানে ঘোরাফেরা করতে আসে সেসব এলাকায় আড্ডা দিত। কারো হাতে দামী স্মার্টফোন দেখলেই প্রথমে তাকে টার্গেট করে করতো এরা। এদের মধ্যে এক জন টার্গেটের কাজে যেত, পাশে আরো দুজন থাকতো। অপর পাঁচ জন একটু দূরে অবস্থান করত। প্রথম জন যেয়ে টার্গেটকে আচমকা বলতো, ‘তুমি মোবাইল ফোন দিয়ে আমার বড় ভাই অথবা বোনের ছবি তুলেছ, মোবাইলটা দাও’ । এরপরই সে দ্রুত মোবাইলটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতো। পাশে থাকা দুজন টার্গেটকে ধমক দিয়ে এবং মারধরের চেষ্টা ও ভয়ভীতি দেখাত। এর পরও ছিনতাইয়ের শিকার কিশোর বা তরুন চিৎকার করার চেষ্ঠা করে তবে অপর পাঁচ জন এসে জটলা পাকিয়ে মোবাইল ছিনতাইকারীকে কৌশলে পালিয়ে যেতে সহায়তা করত। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

 

রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/২ অক্টোবর ২০১৮/রেজাউল/শাহেদ