সারা বাংলা

জামালপুরে গরু চুরির উপদ্রব

জামালপুর সংবাদদাতা : জামালপুরে গরু চুরির উপদ্রব বেড়েছে। প্রায়ই ঘটছে পিকআপ ভ্যানে অভিনব কায়দায় গরু চুরির ঘটনা। গরু চোরের উৎপাতে আতকিংত কৃষকরা রাত জেগে গোয়ালঘর পাহাড়া দিচ্ছে। গরু চুরির উপদ্রব সবচেয়ে বেশি জেলার মেলান্দহ উপজেলা। এ উপজেলার কৃষকেরা রাতের বেলায় গরুর পায়ের সঙ্গে নিজের পা বেঁধে গোয়াল ঘরে রাত কাটাচ্ছেন। গত দুই মাসে মেলান্দহে ৩৬টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। দুর্গম এলাকার কৃষকরা মামলা না করায় চুরি সংখ্যা আরো বেশি। উপজেলার চরবানী পাকুরিয়া ইউনিয়নের বেতমারী গ্রামে সোমবার রাতে আবু তালেব হাক্কুর গোয়ালঘর থেকে পাঁচটি গরু চুরি করে পিকআপ ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথে গরুসহ চার চোরকে সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। জামালপুর থানার ওসি নাসিমুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা মিনি ট্রাকে করে বাইপাস সড়ক দিয়ে মঙ্গলবার ভোরে টাঙ্গাইলের দিকে যাচ্ছিল। বাইপাস সড়কের মির্জা আজম চত্বরে টহল পুলিশ ভ্যানটিকে চ্যালেঞ্জ করলে চোরেরা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় চোরদের আটক করে গরু ভর্তি ভ্যান থানায় আনা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গরু চুরির কথা স্বীকার করেছে। পরে তাদের মেলান্দহ থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় আবু তালেব বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় মামলা করেছেন। গত এক মাসের মধ্যে মেলান্দহের বালুআটা গ্রামে রফিক মেম্বারের পাঁচটি, মামাভাগিনা গ্রামের আব্দুল্লাহর দুটি,বরইপাড়া গ্রামের মোতালেবের ছয়টি,মালঞ্চের রফিক মাষ্টারের ছয়টি,বাদল মিয়ার দুটি,বজরদ্দি পাড়ার কামাল মিয়ার দুটি,শুকুর আলীর একটি,গাতু মোল্লার একটি এবং উত্তর চরপলিশার ইউসুফ আলীর ছয়টি গরু চুরি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানান, তাদের ধারনা আগে থেকে স্থানীয় চোরদের মাধ্যমে কার গোয়ালঘরে কয়টি গরু রয়েছে, কোন পথ দিয়ে গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়া যাবে জানতে রেকি করে গরু চুরি ঘটনা ঘটাচ্ছে আন্তঃজেলা গরুচোর চক্র। এ ব্যপারে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গরু চুরি রোধে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। কৃষকদের মধ্যেও সচেতনতা গড়ে তুলতে ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।’ রাইজিংবিডি/জামালপুর/৯ অক্টোবর ২০১৮/সেলিম আব্বাস/শাহেদ