সারা বাংলা

টাঙ্গাইলে শিশু জুয়েল হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল : জেলায় চাঞ্চল্যকর শিশু জুয়েল হাসান (৬) হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শওকত হোসেন চৌধুরী এ রায় দেন। একই সাথে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রহিম (৪০) টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিল মাগুরাটা গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি এস আকবর খান। বাদি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আরফান আলী মোল্লা ও অ্যাডভোকেট শামস উদ্দিন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের বিল মাগুরাটা গ্রামে ধর্ম সভা (ওয়াজ মাহফিল) অনুষ্ঠিত হয়। সভাস্থলের পাশেই জুয়েল হাসানের বাবা শহিদুর রহমান ও মা রোজিনা বেগম চায়ের দোকান করেন। ওই চায়ের দোকানে শিশু জুয়েল হাসানও অংশ নেয়। রাত সাড়ে ১০ দিকে চায়ের দোকান থেকে চলে যায় জুয়েল হাসান। পরে রাত ১ টার দিকে ধর্ম সভা শেষ হলেও জুয়েল হাসান আর ফিরে না আসায় বাবা-মা জুয়েল হাসানকে খুঁজতে থাকে। পরদিন সকাল সাড়ে ৯ টায় পিচুরিয়া কবরস্থানের পাশে ধান ক্ষেত থেকে জুয়েলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার চোখ উপড়ানো ছিল।  ২০ নভেম্বর অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে টাঙ্গাইল মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত জুয়েল হাসানের মা রোজিনা বেগম। ১১ ডিসেম্বর মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেন টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এস আই ওবাইদুর রহমান। ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল হাসানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন আব্দুর রহিম। পরদিন ৫ জানুয়ারি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ হামিদুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন তিনি। জবানবন্দিতে আব্দুর রহিম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত জুয়েল হাসানের মায়ের সাথে তার পরকীয়া ছিলো। এতে জুয়েল সমস্যা করার কারণে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

 

রাইজিংবিডি/ টাঙ্গাইল/২৭ নভেম্বর ২০১৮/শাহরিয়ার সিফাত/এনএ