সারা বাংলা

স্কুলছাত্র নিফাত হত্যার রহস্য উদঘাটন

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : গাজীপুরে স্কুলছাত্র ইফতিয়াক হোসেন নিফাতকে (১১) হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং মূল আসামী রফিকুল ইসলাম ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১। শুক্রবার দুপুরে র‌্যাব-১ গাজীপুরের পোড়াবাড়ি ক্যাম্প এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নেত্রকোনার দূর্গাপুর থানার নোয়াপাড়া এলাকার মো. রজব আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৬), তার স্ত্রী তানজিনা (১৮), মা রোজিনা বেগম (৪৫), একই এলাকার আলী আহম্মেদের স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪০), কবিরুল ইসলামের স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম (২৫)। র‌্যাব জানায়, গত বুধবার বাহাদুরপুর এলাকার হযরত আলীর ছেলে ইফতিয়াক হোসেন নিফাত অপহৃত হয়। অপহরণের আগে নিফাত ও রফিকুল ইসলাম এক সাথে ব্যাটমিন্টন খেলেছিল।  পরবর্তীতে অপহরণকারীরা নিফাতের বাবাকে ফোন করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এক পর্যায়ে অপহরণকারীরা নিফাতের বাবাকে টাকা নিয়ে ময়মনসিংহ শহরে যেতে বলে। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে রফিকুল ইসলামের ভাড়া বাসা থেকে প্রায় ১৫০ গজ দূরে একটি আম বাগানে মধ্যে থেকে  নিফাতের লাশ উদ্ধার হয়। ২৭ ডিসেম্বর র‌্যাব-১ এর গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাহাদুরপুর এলাকা থেকে হত্যাকান্ডে জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করে। র‌্যাব জানায়, রফিকুল গত ১০ বছর ধরে বাহাদুরপুর এলাকার বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকরি করে আসছে। তার স্ত্রী তানজিলা এবং মা রেজিয়াকে নিয়ে একই ভাড়া বাসায় বসবাস করত। তিনি মাস আগে থেকে তারা এবং পলাতক আসামী মো. হারুন নিফাতকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। অপহরণের দিন রফিকুল পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নিফাতকে খেলার ফাঁকে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে আটকে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু নিফাত এ সময় চিৎকার দিতে থাকে এবং ছাড়া পেলে তাদের কথা সবাইকে জানিয়ে দিবে হুমকি দিলে তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রফিকুল প্রথমে নিফাতকে মাটিতে ফেলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ধরে এবং  তার মা রেজিনা ও সে গলা টিপে নিফাতকে হত্যা করে। আলামত ধ্বংস করতে নিফাতের জুতা, গলায় পেঁচানো ওড়না এবং খেলার ব্যাট আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। রাইজিংবিডি/ গাজীপুর / ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮/ হাসমত আলী/শাহেদ