সারা বাংলা

ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে দেখতে গেলেন ডিআইজিপি

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় গত রোববার রাতে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে দেখতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গেলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি গোলাম ফারুক। আজ বুধবার রাতে তিনি হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, প্রাথমিকভাবে নয় জনকে আসামি করে মামলা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে প্রধান আসামিসহ তিন জনকে গ্রেপ্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তারা যে দলের বা যত প্রভাবশালী হোক তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা পুলিশের দায়িত্ব। এর আগে তিনি সন্ধ্যায় ওই নারীর গ্রামের বাড়ি পরিদর্শন করেন এবং সেখানকার স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফসহ পুলিশের স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ভোট কেন্দ্রে বাকবির্তকের জের ধরে রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে স্থানীয় সন্ত্রাসী সোহেল, স্বপন, চৌধুরী, বেচসহ ১০ জন। এ সময় তারা ঘরে ভাঙচুর করে ভিকটিমের স্বামীকে মারধর ও চার সন্তানকে বেঁধে রেখে ওই নারীকে উঠানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করে। পরে এই ঘটনায় তার স্বামী বাদী হয়ে নয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তে বুধবার দুপুরে মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের দল নোয়াখালী যায়। তারা হাসপাতালে ওই নারীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। কমিটির প্রধান মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর জানান, ভুক্তভোগীর স্বাক্ষ্য ও ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তাদের তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেবেন। এ সময় মানবাধিকার ও আইনী সহায়তাকারী বেসরকারি সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তিন সদস্যের তদন্ত দল হাসপাতালে এবং ঘটনাস্থলে যায়। রাইজিংবিডি/নোয়াখালী/২ জানুয়ারি ২০১৯/মাওলা সুজন/বকুল