সারা বাংলা

ধর্ষণের ঘটনায় ইন্ধনদাতা গ্রেপ্তার

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী এলাকায় গত রোববার রাতে স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলায় ইন্ধনদাতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তর করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ মামলায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ঘটনার ইন্ধনদাতা সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমিনকে সুবর্ণচর উপজেলার উত্তর ওয়াপদা এলাকার খামার বাড়ি থেকে এবং এজাহারভুক্ত আসামি বেচুকে সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের খাজুরিয়া এলাকার ইটভাটা থেকে গ্রেপ্তর করা হয়েছে।  সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন দুইজনকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকর করে বলেন, এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি, ইন্ধনদাতাসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে বাকবির্তকের জের ধরে রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে স্থানীয় সন্ত্রাসী সোহেল, স্বপন, চৌধুরী, বেচুসহ ১০ জন। এ সময় তারা ঘরে ভাঙচুর করে ভিকটিমের স্বামীকে মারধর ও চার সন্তানকে বেঁধে রেখে ওই নারীকে উঠানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করে। পরে এই ঘটনায় তার স্বামী বাদী হয়ে নয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনা তদন্তে বুধবার দুপুরে মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের দল নোয়াখালী যায়। তারা হাসপাতালে ওই নারীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। কমিটির প্রধান মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর জানান, ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য ও ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তাদের তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেবেন। এ সময় মানবাধিকার ও আইনী সহায়তাকারী বেসরকারি সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তিন সদস্যের তদন্ত দল হাসপাতালে এবং ঘটনাস্থলে যায়। রাইজিংবিডি/নোয়াখালী/৩ জানুয়ারি ২০১৯/মাওলা সুজন/বকুল