সারা বাংলা

রংপুরের সাংসদরা স্পিকার-মন্ত্রী, পুত্রবধূ প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর : নতুন সরকারে স্পিকার, মন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতাসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে রংপুর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা থাকায় এলাকার মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে। শুধু রংপুর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাই নয়, আত্মীয়তার সূত্রেও আছেন গুরুত্বপূর্ণ পদে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুরের পুত্রবধূ। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী রংপুরের পীরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলের প্রধান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ রংপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য। সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা গঙ্গাচড়া আসনের সংসদ সদস্য। সর্বশেষ বাণিজ্য মন্ত্রীর পদ পেলেন রংপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য টিপু মুন্সি। টিপু মুনশির মন্ত্রী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রংপুরবাসীর মাঝে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হওয়ার জন্য ফোন পেয়েছেন। রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টিপু মুনশির একান্ত সচিব তুহিন চৌধুরী। টিপু মুনশি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি তিনি। এই রাজনীতিক ২০০৮ ও ২০১৪ সালে রংপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে পর পর দুইবার শেখ হাসিনা পীরগঞ্জ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে পীরগঞ্জের আসনটি ছেড়ে দিলে এই আসনের এমপি হন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি সংসদের স্পিকার। এবারও তিনি স্পিকার হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই তেমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।   জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৯১ সাল থেকে সদর আসনের সংসদ সদস্য। এবার তিনি বিরোধীদলীয় নেতা। গঙ্গাচড়া আসনের সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা বিরোদীদলীয় চিফ হুইপ নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তিনি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু বলেন, রংপুরে যত উন্নয়ন হয়েছে, তা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়েছে। তাই এবারে রংপুর থেকে নির্বাচিতরা গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ায় এর ধারা অব্যাহত থাকবে।  ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুরের ৬টি আসনেই জয়লাভ করে জাতীয় পার্টি। এর মধ্যে ১৯৯৭ সালের উপনির্বাচনে রংপুর-২ ও রংপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়লাভ করেন এবং সেবারই প্রথম মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে স্থান পান রংপুর-২ আসনের প্রয়াত আনিসুল হক চৌধুরী এবং রংপুর-৫ আসনের এইচ এন আশিকুর রহমান। ২০০৮ সালে ছন্দপতন ঘটে। সেবার ৬টি আসনের মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগ জয় পেয়ে তাদের আধিপত্য জানিয়ে দেয়। ভাঙতে শুরু করে জাপার দুর্গখ্যাত রংপুর। সেই জয়ের ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৪টি আসনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। এবার ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই ৪টি আসন ধরে রাখে দলটি। ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পরপর দুইবার আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও মন্ত্রীবঞ্চিত ছিল রংপুর। রাইজিংবিডি/রংপুর/৬ জানুয়ারি ২০১৯/নজরুল মৃধা/বকুল