সারা বাংলা

দেশীয় গবেষণা, ডিমেই মিলবে স্বাস্থ্যবান বাচ্চা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট: ডিম না ভেঙেই খোসার পুরুত্ব নির্ণয়ে সফলতা পেয়েছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী খালিদুজ্জামান এলিন। তিনি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েব ব্যবহার করে ডিমের খোসার পুরুত্ব নির্ণয় করেন। এ প্রযুক্তি উদ্ভাবনের আগে ডিম ভেঙে খোসার পুরুত্ব নির্ণয় করা হতো। এ গবেষণার ফলে জীববিজ্ঞান, বাস্তুসংস্থান এমনকি এগ গ্রেডিং-এ বড় একটি মাইলফলক উন্মোচিত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। খালিদুজ্জামান এলিন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি বিভাগের সহকারী প্রফেসর। বর্তমানে তিনি জাপানের কিয়াতো বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষক হিসেবে অধ্যয়নরত। সেখানেই ডিমের খোসার উপর গবেষণা করে প্রথমবারের মতো বড় সাফল্য পেয়েছেন বলে ইমেইলে প্রেরিত বার্তায় তিনি নিশ্চিত করেছেন। গবেষক খালিদুজ্জামানের মতে, তার এ গবেষণায় সাধারণ ডিম ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর নিয়ে আসছে। কেননা তারা পরিবহনের সুবিধার্থে পুরু খোসার ডিমই নির্বাচন করে থাকেন। এছাড়া পুরু খোসাসমৃদ্ধ ডিম থেকে স্বাস্থ্যবান বাচ্চাও উৎপন্ন হয়। এ কারণে সহজেই স্বাস্থ্যবান ডিম নির্ণয় এখন সহজ হবে বলে দাবি তার। তিনি জানান, ডিমের খোসাই হচ্ছে ডিমের গুণগত মানের পরিমাপক। ডিমের খোসা পরীক্ষা করেই নির্ণয় করা যাবে ডিমটির গুরুত্ব। তার মতে, ডিমের খোসার মূল কাজ হলো এর অভ্যন্তরে বাড়তে থাকা ভ্রূণকে এবং ভ্রূণের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকে রক্ষা করা। এছাড়া সূর্যের আলো থেকে নির্গত আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকেও ভ্রুণকে রক্ষা করা।’ রাইজিংবিডি/ সিলেট/ ২৩ জানুয়ারি ২০১৯/ আব্দুল্লাহ আল নোমান/টিপু