সারা বাংলা

মাদকমুক্ত খুলনা নগরী গড়ার অঙ্গীকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় খুলনাকে মাদকমুক্ত শহর গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। রোববার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেন সভাপতিত্ব করেন। সভায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ‘শতভাগ মাদক নির্মূলে যৌথ উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই। খুলনা জেলাকে মাদকমুক্ত করতে পুলিশ বাহিনী ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালিত করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘ময়ূর নদীসহ ২২ খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে এবং ব্যাপক জনসচেতনতার জন্য মাইকিং করা হবে। ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বাজারজাতকরণ নিয়ন্ত্রণ করতে অভিযান কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’ হেলাল হোসেন বলেন, ‘২১ ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’ খুলনা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘জনগণকে সেবা দিতে সকল চিকিৎসক ও নার্সরা কর্তব্য পালন করে যাচ্ছে। খুলনা বেসরকারি ক্লিনিকগুলোকে যাচাই-বাছাই করে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন লাইসেন্স দেওয়া হবে। এর ফলে স্বাস্থ্য বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ১০০ দিনের কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন হবে।’ তিনি জানান, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের উন্নয়নমূলক ফলক উদ্বোধন করবেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বিপিএম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে আগামী এক মাসের মধ্যে খুলনা জেলাকে মাদকমুক্ত করা হবে। মাদক নিয়ে নিরীহ লোককে হয়রানি করা হবে না। মাদক ও ভূমিদস্যুদের জন্য তদবিরকারীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলে এই শহরকে দুর্নীতিমুক্ত করা যাবে।’ তাই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে তিনি সকলের নিজ নিজ কাজ সততার সাথে করার অনুরোধ জানান। সভায় আইন-শৃঙ্খলা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, খুলনা জেলার নয়টি উপজেলায় জানুয়ারি মাসে চুরি ছয়টি, খুন পাঁচটি, অস্ত্র আইন দুইটা, ধর্ষণ একটি, নারী ও শিশু নির্যাতন ছয়টি, নারী ও শিশু পাচার দুইটি, মাদকদ্রব্য ১১৫টি এবং অন্যান্য ৬৬টিসহ মোট ২০৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে এ সংখ্যা ছিল ১২৯টি। মহানগরীর আটটি থানায় জানুয়ারি মাসে ডাকাতি একটি, চুরি দশটি, খুন চারটি, অস্ত্র আইন দুইটি, দ্রুত বিচার একটি, ধর্ষণ একটি, নারী ও শিশু নির্যাতন সাতটি, মাদকদ্রব্য ২৭২টি এবং অন্যান্য আইনে ১৯টিসহ মোট ৩১৭টি মামলা দায়ের হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে এ সংখ্যা ছিল ১৪৯টি। সভায় সকল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সকল ইউএনওসহ জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন। রাইজিংবিডি/খুলনা/১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/সাইফুল