সারা বাংলা

পর্ণোগ্রাফি আইনে ভুয়া সাংবাদিক কারাগারে

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা : সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণার ফাঁদে আটকে এক কলেজ ছাত্রীর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পর্ণোগ্রাফি আইনের মামলায় জীবন মাহমুদ ডাবলু (৩৮) কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করীম এই আদেশ দেন। এর আগে ডাবলু আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। জীবন মাহমুদ ডাবলু কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়া গোশালা রোডের বাসিন্দা কাওসার উদ্দিনের ছেলে। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের অক্টোবরে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে একজনের নামোল্লেখ করে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নালিশী মামলা করেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডিকে। সিআইডির এসআই প্রতাপ কুমার তদন্ত শেষে চার জনের জড়িত থাকার প্রমাণসহ ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ৪ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। অপর আসামিরা হলেন- নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সিরামপুর গ্রামের আনিসুর রহমান সরকারের ছেলে নাসির উদ্দিন, কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া ছয়রাস্তা মোড়ের মজিবর রহমানের ছেলে রবিউল ইসলাম এবং কুমারখালী উপজেলার শালঘর মধুয়া গ্রামের মতিয়ার রহমানের স্ত্রী রেহেনা খাতুন নুপুর। মামলার বাদী কুমারখালী উপজেলার কলেজ ছাত্রী মোবাইল ফোনে বলেন, ‘‘সাংবাদিক পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে ফাঁদে ফেলে দিনের পর দিন ব্লাকমেইল করে বাধ্য করেছে তার কথা মতো চলতে। এরপর আমি যখন বুঝতে পারি ডাবলু আসলে সাংবাদিক নন। ভণ্ড প্রতারক। তখন ভয় ও হুমকি উপেক্ষা করে সরে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ইউটিউবে ছেড়ে দিয়ে।’’ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এসআই প্রতাপ কুমার বলেন, এই মামলায় বাদী তার আরজিতে একজনের নামোল্লেখসহ আদালতে নলিশী অভিযোগ করলেও তদন্তে চার জনের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে এসেছে। আসামি জীবন মাহমুদ ডাবলু আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। অপর তিন পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকায় তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। রাইজিংবিডি/কুষ্টিয়া/১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/কাঞ্চন কুমার/বকুল