সারা বাংলা

‘উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে’

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিএনপি যদি স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিএনপি নিজেরা যোগদান করবে না অথবা অন্যরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার যে কথা বলেছে সেটা বিএনপির নির্বুদ্ধিতার পরিচয়।’ সোমবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘দেশ, জাতি ও মানুষের প্রতি আন্তরিকতা, ভালোবাসা যদি একটি সংগঠনের থাকে, তাহলে স্বাভাবিকভাবে এ সমস্ত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে তাদের অংশগ্রহণ করাটা অত্যন্ত বাধ্যতামূলক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশ গড়া হচ্ছে। এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সেখানে বিএনপির অবদান রাখার সুযোগ ছিল। আমরা বুঝি না বিএনপি যদি সত্যিকারে দেশপ্রেমিক দল হয় এবং বাংলাদেশের উন্নতি চায় তাহলে কেন তারা নির্বাচন থেকে সরে থাকবেন?’ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন একটি শান্ত ও সুন্দর পরিবেশ বিদ্যমান। ইলেকশন কমিশন অত্যন্ত শক্তিশালী এবং নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য সক্ষমতা তাদের আছে বলে দাবি করেছে। এটা আমরা নিজেরাও লক্ষ্য করছি যে, নির্বাচন পরিচালনার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সামগ্রিকভাবে সব ধরনের ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করেছে।’  

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে বিভিন্নভাবে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত তারা নেবে। দলের সাধারণ সম্পাদক তাদের আহ্বান জানিযেছেন। তাদের যদি কোনো কথা থাকে সে কথাও তাদের বলার জন্য বলা হয়েছে। এখানে উদ্যোগের কোনো অভাব নেই।’ এর আগে দুপুরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে সুরা ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. কামাল উদ্দিন তালুকদার, প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, গোপালগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে ফজলুল হক, গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মির্জাসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লেখেন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। রাইজিংবিডি/গোপালগঞ্জ/১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/বাদল সাহা/সাইফুল