সারা বাংলা

ফরিদপুরের আট উপজেলায় ২০ বিদ্রোহী

ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের আট উপজেলায় আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন ২০জন। এ ছাড়া দুই উপজেলায় কৌশলে বিএনপি প্রার্থীও রয়েছেন। ফরিদপুরে উপজেলার সংখ্যা ৯। এরমধ্যে ফরিদপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীতা দাখিল করায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে অবশিষ্ট আটটি উপজেলায়। এসব উপজেলায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীদের সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের। এছাড়া নগরকান্দা ও চরভদ্রাসন উপজেলায় কৌশলে রয়েছেন বিএনপির প্রার্থীও। ফরিদপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, ভাইস চেয়ারম্যান পদে এস. এম. সরোয়ার হোসেন সন্টু ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফরিদা ইয়াসমিন একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছেনা এ উপজেলায়। তবে জেলার অপর আটটি উপজেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোট ৩৭জন প্রার্থীর মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন প্রায় ২০জন। বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের মাঠে না থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের সাথে মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। বিদ্রোহী প্রার্থীদের দাবী, সাধারণ ভোটারদের আগ্রহের কারণেই প্রার্থী হয়েছেন তারা। নগরকান্দা উপজেলার বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী শাহ জামান বাবুল বলেন, ‘সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হলে আমিই মনোনয়ন পেতাম। গণমানুষের চাওয়া পূরণ করতেই আমি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মনে করছেন- দল মনোনয়ন দেওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের সাথে রয়েছেন। ফলে বিদ্রোহীরা বিজয়ের পথে কোন ধরনের বাধা সৃষ্টি করতে পারবেন না। মধুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মির্জা মনিরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ‘দল যোগ্যতা যাচাই-বাছাই করেই মনোনয়ন দিয়েছেন। পুরো সংগঠন আমার সাথে রয়েছে। সুতরাং নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবো। দলীয় নেতারাও মনে করেন বিদ্রোহী প্রার্থী যেই হোক না কেন দলীয় নেতাকর্মীরা সাথে থাকায় তারা দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ে বাধা হবে না। মধুখালী আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বলেন,’দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা মানতে হবে। আর দলের বাইরে গিয়ে কেউ নির্বাচন করলে দলের সাথে বেঈমানি করা হবে।’ জেলার নগরকান্দা ও চরভদ্রাসন উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন দুই বিএনপির নেতা। নগরকান্দার চেয়ারম্যান প্রার্থী তালুকদার নাজমুল হাসান দাবী করেন, গণমানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করার উদ্দেশেই প্রার্থী হয়েছেন তিনি। সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মো. নওয়াবুল ইসলাম জানান, প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। আচরণবিধি সম্পর্কে এরই মধ্যে প্রার্থীদের অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ ও ১৮ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফরিদপুরের এ আটটি উপজেলায়। আট উপজেলার ভোটার সংখ্যা ১০লাখ ৬৮হাজার ৫৬৪। রাইজিংবিডি/ ফরিদপুর/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/মো. মনিরুল ইসলাম টিটো/টিপু