সারা বাংলা

টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ ইয়াবা ও হুন্ডি ব্যবসায়ী নিহত

কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত দুই ইয়াবা ও হুন্ডি ব্যবসায়ি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ২ টায় টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাজারছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। নিহতরা হলো, টেকনাফ পৌরসভার নাজির পাড়ার এজাহার মিয়ার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৪০) এবং জালিয়াপাড়ার আব্দুর শুক্কুরের ছেলে নুরুল আমিন (৩৫)। আহতরা হলেন, টেকনাফ থানার উপ-সহকারি পরিদর্শক (এএসআই) সঞ্জিব দাশ, কনেস্টেবল আল আমিন, সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ এরশাদুল ও মোহাম্মদ সাব্বির। তাদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত দুজনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত চিহ্নিত ইয়াবা ও হুন্ডি ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে মাদক, মানিলন্ডারিং ও সাংবাদিকদের ওপর হামলাসহ নানা অভিযোগে ১০ টির বেশি মামলা রয়েছে। ওসি প্রদীপ জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের রাজারছড়ার পাহাড়ী এলাকায় ইয়াবা লেনদেনের জন্য জড়ো হয়েছে খবরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে সংঘবদ্ধ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা অতর্কিত গুলি ছুঁড়তে থাকে। তিনি বলেন, ‘এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এক পর্যায়ে কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ী গুলি পালিয়ে যায়। গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থলে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় ২০ হাজার পিস ইয়াবা, আটটি দেশীয় বন্দুক ও ২০ টি গুলি। গুলিবিদ্ধ দুজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত পুলিশ সদস্যরা টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে। ’ প্রদীপ বলেন, নুর মোহাম্মদ ও নুরুল আমিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে মাদক, মানিলন্ডারিং ও সাংবাদিকদের ওপর হামলাসহ নানা অভিযোগে ১০ টি মামলা রয়েছে। এছাড়া নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে মাদক ও হত্যাসহ নানা অভিযোগে তিনটির বেশি মামলা রয়েছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি। রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/২২ মার্চ ২০১৯/সুজাউদ্দিন রুবেল/শাহেদ