সারা বাংলা

নববর্ষ উদযাপনে কক্সবাজারে বর্ণিল আয়োজন

কক্সবাজার প্রতিনিধি : বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে নতুন সাজে সেজেছে সৈকত শহর কক্সবাজার। প্রতি বছরের মতো এ বছরও পহেলা বৈশাখ উদযাপনে কক্সবাজারে আসতে শুরু করেছে বিপুল সংখ্যক পর্যটক। ইতোমধ্যে শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে চার শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টের সব কক্ষ। পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে পহেলা বৈশাখে আয়োজন করা হচ্ছে নানা অনুষ্ঠানের। ট্যুরিস্ট পুলিশও নিরাপত্তায় নিয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত শহর কক্সবাজার। কোনো উপলক্ষ আসলেই এখানে ভিড় বাড়ে পর্যটকের। পহেলা বৈশাখ হলে তো কথাই নেই। পর্যটকের আগমন কেন্দ্র করে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানকে নানা রঙে সাজানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের কারণে উৎসবে রূপ নেবে পর্যটন শহর। শতভাগ বুকিং হওয়া চার শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টে চলে এসেছে পর্যটকেরা। যা বিপুল সংখ্যক পর্যটক আগমনের ইঙ্গিত দেয়। শনিবার সকালে সরেজমিন হোটেল মোটেল জোনের তারকামানের হোটেলগুলো ঘুরে দেখা যায়, চারদিকে সাজ সাজ রব। হোটেলে প্রবেশদ্বারে শোভা পাচ্ছে বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ লেখা নানা রঙে রাঙানো প্ল্যাকার্ড। হোটেলের ভেতরে ঢুকতে চোখে পড়বে নানা রঙের মুখোশ, কৃত্রিম হাতি, হরিণ, গ্রাম-বাংলার দৃশ্য ও আলপনা। থাকছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য গ্রামীণ মেলা। যাতে থাকছে নানা ধরনের স্টল। হোটেল কক্স-টুডের ম্যানেজার অং মারমা বলেন, হোটেলের সব রুম বুকিং। নববর্ষ উপলক্ষে হোটেল রাঙিয়েছেন কল্পনার রঙে। পর্যটকদের আসা শুরু হয়েছে এবং পহেলা বৈশাখে যারা আসবেন, তারা যাতে আনন্দের সঙ্গে নববর্ষ উপভোগ করতে পারেন, সেজন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সী গাল হোটেল ম্যানেজার নুর-ই-আলম বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর পহেলা বৈশাখে পর্যটকের বেশি সাড়া পেয়েছেন। পর্যটকদের জন্য পহেলা বৈশাখে দুপুরে স্পেশাল বাঙালিয়ানা খাবার ও রাতে বার-বি-কিউ স্থানে থাকছে ‘বৈশাখী বাউলিয়ানা’ অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠান হোটেলে আগত পর্যটক ও বাইরের অতিথিরা উপভোগ করতে পারবে। হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র আবু তালেব শাহ বলেন, পহেলা বৈশাখে পর্যটকে ভরপুর থাকবে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। তিন লাখের অধিক পর্যটকের আগমন হবে বলে ধারণা করছেন তিনি। পর্যটকদের আনন্দ দিতে প্রায় সব হোটেল থাকছে ভিন্নমাত্রিক আয়োজন। পর্যটকরা ভালোই উপভোগ করতে পারবে পহেলা বৈশাখ। ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফখরুল ইসলাম জানান, পহেলা বৈশাখে যেহেতু বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটবে, সেহেতু পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে সৈকত ও পর্যটন স্পটে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। নিরাপদে পর্যটকরা কক্সবাজারে ঘুরতে পারবে বলে আশা করেন তিনি। জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জয় জানান, বাংলা নববর্ষ বরণ করতে জেলা প্রশাসন নানা আয়োজন করেছে। সকাল ৭টায় বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ বরণ, সকাল ৮টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা, ৯টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিকেল ৪টায় সমুদ্র সৈকতে ঘুড়ি উৎসব ও বিকাল ৫টায় বৈশাখী বিচ র‌্যালি করা হবে। রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/১৩ এপ্রিল ২০১৯/সুজাউদ্দিন রুবেল/বকুল