সারা বাংলা

অস্ত্র মামলায় পেকুয়ার চেয়ারম্যানের ১৪ বছরের জেল

কক্সবাজার প্রতিনিধি : অস্ত্র মামলায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। জাহাঙ্গীর আলম গত ২৫ এপ্রিল সদ্যনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।  রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত জাহাঙ্গীর আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জাহাঙ্গীর পেকুয়া উপজেলা যুবলীগেরও সভাপতি।  এ ছাড়া, তিনি কক্সবাজার জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ছিলেন।  তিনি আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থীকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারিক হাকিম খোন্দকার হাসান মো. ফিরোজ এ রায় দেন বলে জানান কক্সবাজার আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মমতাজ আহমদ। রায় ঘোষণার সময় জাহাঙ্গীরসহ মামলার অন্যান্য আসামি (জাহাঙ্গীরের তিন ভাই ) আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী। মামলার রায়ের বিবরণীর বরাত দিয়ে পিপি মমতাজ বলেন, ‘২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে র‌্যাবের একটি দল তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, ১০টি গুলি ও নগদ ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করে। এ সময় বাড়িতে অবস্থানকারী জাহাঙ্গীর ও অপর তিন ভাইকে আটক করেন র‌্যাব সদস্যরা।  এ ঘটনায় র‌্যাব পেকুয়ায় থানায় আটকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা দায়ের করে।’ রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, ‘মামলা দায়ের করার পর থেকে দীর্ঘ ২১ মাস বিচারকার্য চলে। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারিক হাকিম এ রায় প্রদান করেন।’ ‘বিচারিক হাকিম মামলার প্রধান আসামি ও পেকুয়া উপজেলার সদ্য শপথ গ্রহণকারী চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে জেলহাজতে পাঠনোর নির্দেশ দেন।  তবে সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর মামলার শুরু থেকে ঘটনাটিকে পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করে আসছিলেন।  তার (জাহাঙ্গীর) দাবি, তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশ করে র‌্যাব পরিকল্পিতভাবে অস্ত্র উদ্ধারের এ ঘটনা ঘটিয়েছিল।  কিন্তু আসামিদের দাবির স্বপক্ষে যথাযথ যুক্তিসহ প্রমাণাদি আদালত উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে বিচারিক হাকিম এ রায় দিয়েছেন,’ বলেন পিপি মমতাজ। রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/৯ মে ২০১৯/সুজাউদ্দিন রুবেল/সাইফুল