গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় মামার বাড়ি বেড়াতে এসে ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। শিশুটিকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিশুর মা বাদী হয়ে টুঙ্গিপাড়া থানায় অভিযোগ করেছেন। এরপর পর থেকে অভিযুক্ত মিল্টন ফকির পলাতক। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার মা, বোনসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর মা জানিয়েছেন, মেয়েকে নিয়ে বেশ কয়েক দিন আগে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী মধ্যপাড়া গ্রামে ভাইয়ের বাড়ি বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার ইফতারি শেষে ৬ বছরের মেয়েকে বাড়ির উঠানে রেখে পাশের বাড়িতে পানি আনতে যান। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে হাসেম ফকিরের ছেলে মিল্টন ফকির (২৫) মেয়েকে ডেকে তাদের নির্মাণাধীন বাড়ির কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটিকে ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। পরে তার মা পানি নিয়ে বাড়িতে ফিরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে ডাকাডাকি করেন। তখন মেয়ে ওই কক্ষ থেকে কান্নাকাটি করতে করতে বেরিয়ে আসে এবং ঘটনা খুলে বলে। পরে রাতেই গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের আলামত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশি প্রতিবেদন পেলে শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে। টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম এনামুল কবীর জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তের মা সাহেদা বেগম, বোন রুমাসহ চার জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত মিল্টন ফকির পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
রাইজিংবিডি/গোপালগঞ্জ/১০ মে ২০১৯/বাদল সাহা/বকুল