সারা বাংলা

রংপুরে হোটেল-বেকারির ধর্মঘট, পরে সমঝোতায় প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর : রংপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের প্রতিবাদে ধর্মঘট করে বেকারি ও খাবার হোটেলের মালিকেরা। পরে জেলা প্রশাসকের মধ্যস্থতায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। রংপুরে চলতি রমজান মাসে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে। সেই জরিমানা অস্বাভাবিক দাবি করে রোববার সকাল থেকে নগরীর সব হোটেল, বেকারি, চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, ফার্স্ট ফুড ও মিষ্টির দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। শনিবার বিকেলে রংপুর জেলা রেস্তোরা মালিক সমিতি ও বেকারি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া হয়। সকাল থেকে হোটেল বন্ধ থাকায় মানুষ বেকায়দায় পড়ে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীব। সভায় হোটেল বেকারির মালিক, বিএসটিআইসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে রোববার নয় সোমবার থেকে সব হোটেল বেকারি খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। হোটেল মালিকরা এ সময় অভিযোগ করেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অস্বাভাবিক জরিমানা করা হচ্ছে। যা একজন ব্যবসায়ীর দেয়া সম্ভব নয়। তারা আরো বলেন, ভেজাল পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরি টেস্ট না করেই কোনো পণ্যকে ভেজাল বলা ঠিক নয়। ব্যবসায়ীরা এখন থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও জরিমানা করার সময় পণ্যের ল্যাবরেটরি টেস্ট করার দাবি করেন। হোটেল মালিক সমিতির রংপুর জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল মজিদ খোকন বলেন, হোটেল ও বেকারিতে ভেজাল দেয়ার মতো কিছু নেই। শুধু কাঁচামাল ক্রয় করে খাদ্য প্রস্তুত ও বিক্রি করা হয়। কিন্তু পবিত্র রমজান মাসে অনেক হোটেল, বেকারিকে অস্বাভাবিক হারে জরিমানা করা হয়। এতে করে ছোট, বড় প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি রংপুর জেলা শাখা এবং বাংলাদেশ ব্রেড অ্যান্ড বিস্কিট ফ্যাক্টরি মালিক সমিতি রংপুর জেলা শাখা কর্মসূচি ঘোষণা করে। রাইজিংবিডি/রংপুর/২৬ মে ২০১৯/নজরুল মৃধা/বকুল