সারা বাংলা

কনস্টেবল জামাই’র হাতে শাশুড়ি খুন, আহত স্ত্রী-শ্যালক-শ্বশুর

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা: চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ কনস্টেবল জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত এবং স্ত্রী, শ্যালক এবং শ্বশুর আহত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মাদ্রাসা পাড়ায় শুক্রবার গভীর রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর কনস্টেবল অসীম পালিয়ে গেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আলমডাঙ্গা শহরের মাদ্রাসা পাড়ার সদানন্দ অধিকারী ও শেফালী অধিকারী দম্পতির মেয়ে ফাল্গুনীর ৯ বছর আগে বিয়ে হয়। জামাই অসীম কুমার ভট্টাচার্য চুয়াডাঙ্গা সি আই ডিতে পুলিশের  কনস্টেবল পদে কর্মরত।  তাদের ৬ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অসীম শ্বশুরবাড়ির নিকটবর্তী মাদ্রাসা পাড়াতেই ভাড়াবাড়িতে থাকত। বেশ কিছুদিন থেকে স্বামী অসীমের সাথে স্ত্রীর দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার গভীর রাতে অসীম  স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করলে স্ত্রী পালিয়ে বাবার বাড়ি গিয়ে ওঠেন। পরে অসীম শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর নাম ধরে ডাকাডাকি শুরু করেন। স্ত্রী ঘরের দরজা খুলে দিলে অসীমের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রী ফাল্গুনীর বুকে ও তলপেটে আঘাত করেন। তার চিৎকারে শাশুড়ি, শ্বশুর ও শ্যালক আনন্দ ছুটে এলে সে তাদেরকেও  ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাশুড়ি শেফালী অধিকারী। আহতদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ শনিবার সকালে  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  কানাই লাল সরকার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলিম উল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ সুপার মাহাবুব রহমান (পিপিএম বার) বলেন, ‘আলমডাঙ্গার হত্যাকান্ডের বিষয়ে পুলিশ অপরাধীকে আটকের চেষ্টা করছে। অপরাধী যেই হোক না কেন আইন সবার জন্য সমান।’ রাইজিংবিডি/ চুয়াডাঙ্গা /৮ জুন ২০১৯/ এম এ মামুন/টিপু