সারা বাংলা

ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে দ্বিগুণ পণ্য রপ্তানি

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি দ্বিগুণ হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে রাইচ ব্রান্ড অয়েল, রাইচ খৈল, পাটের সুতা, পাটের চট, গার্মেন্টস্ বর্জ্য, নারকেল শলা, প্রাণের জুস, লিচু ড্রিংস, প্রাণের চানাচুর ও চিপসসহ অন্যান্য পণ্য। ব্যবসায়ী ও বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের সিনিয়র রাজস্ব কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের গত ১১ মাস জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ভোমরা বন্দর দিয়ে ২ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৫ টন পণ্য রপ্তানি হয়েছে ভারতে। যা গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ১১ মাসের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি।

বন্দরের সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো জানান, গত অর্থবছরের ১১ মাসে এ বন্দর দিয়ে বিভিন্ন প্রকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৭৬২ টন।

ভোমরা বন্দর ব্যবহারকারী আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স গনি এন্ড সন্সের ব্যবস্থাপক অশোক কুমার জানান, চলতি বছর এ প্রতিষ্ঠান ১৩ থেকে ১৪ হাজার টন গার্মেন্টস্ বর্জ্য এবং ৩ হাজার টন নারকেলের শলা রপ্তানি করেছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। তিনি বলেন, ভারতে বাংলাদেশি গার্মেন্টস্ বর্জ্য চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানি বাড়ছে।

ভোমরা বন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স মজুমদার এজেন্সির ব্যবস্থাপক পরিতোষ কুমার ঘোষ জানান, প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর ভোমরা বন্দর দিয়ে বিভিন্ন প্রকার পণ্য আমদানির পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে রাইচ ব্রান্ড অয়েল এবং চালের খৈল ভারতে রপ্তানি করে থাকে। তবে গত ২-৩ বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর এ পণ্য দুটি রপ্তানি বেড়েছে বলে জানান তিনি।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বে থাকা কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশানার নেয়ামুল হাসান জানান, যে কোনো পণ্য রপ্তানি বা আমদানি মূলত ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী বাড়ে এবং কমে। তবে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি বেড়েছে এ বন্দর দিয়ে। রাইজিংবিডি/সাতক্ষীরা/৩০ জুন ২০১৯/শাহীন গোলদার/বকুল