সারা বাংলা

বান্দরবানে আরো ৩টি সেতু, সহজ হবে রুমা বগালেকে যাওয়া

বান্দরবান সংবাদদাতা: একের পর এক উন্নয়ন কার্মকান্ডে বদলে যাচ্ছে পার্বত্য জেলা বান্দরবান। এবার জেলার দুই উপজেলায় তিনটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এতে পর্যটকদের জন্য সহজ হয়ে উঠবে রুমা বগালেক পর্যটনে যাওয়া।

প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২২ অর্থ বছরের মধ্যে জেলার এই তিন সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।

সেতু তিনটি হচ্ছে, বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার বেতছড়া বাজার সংলগ্ন সেতু, থানচি উপজেলার বলিবাজার সংলগ্ন সাঙ্গু সেতু ও একই উপজেলার সোনাইখালের উপর জ্ঞান লাল পাড়া সাঙ্গু সেতু।

এই তিনটি সেতু নির্মাণের কারণে দুই উপজেলার অন্তত ৫০ হাজার মানুষ সড়ক যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উপকৃত হবেন। এর ফলে এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নের পাশাপাশি বদলে যাবে এলাকার অর্থনীতি। স্থানীয় আদিবাসী পরিবারগুলো শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি জুম পাহাড়ের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে পারবে। বাড়বে পর্যটকদের আনাগোনা।

এই ব্যাপারে থানচি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং মার্মা বলেন, ‘থানচিতে নতুন দুটি সেতু নির্মাণের ফলে পার্শ্ববর্তী উপজেলা রুমার বগালেক পর্যটনে অনায়াসে যাওয়া যাবে, ফলে পর্যটকের আগমন বাড়বে।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র একান্তিক প্রচেষ্টা ও নির্বাচনী অঙ্গিকার পূরণের অংশ হিসাবে সেতুগুলো নির্মাণে অনুমোদন পাওয়ায় স্থানীয়রা আনন্দিত।

রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হ্লা থু খ্রি মার্মা বলেন, ‘বেতছড়ায় সাঙ্গু  সেতু নির্মাণের উদ্যোগের ফলে আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরন হওয়ার পথে, তাই আমরা বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’

রোয়াংছড়ি উপজেলার বেতছড়া বাজার সংলগ্ন সাঙ্গু সেতুটি বান্দরবানের রুমা-থানচি উপজেলা সড়কের সাথে বৈদ্যপাড়া,কাইন্তারমুখ ও পাগলাছড়া হয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলা সদরের সাথে সংযোগ স্থাপন করবে। থানচি উপজেলার বলিবাজার সংলগ্ন সাঙ্গু সেতু থানচি-বান্দরবান সড়কের সাথে সংযোগ স্থাপন করে থানচি উপজেলা সদর-রুমার বগালেক সড়ক ও জেলার সাথে সংযোগ স্থাপন করবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘তিন সেতুর কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। এই সেতু নির্মাণ হলে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের ফলে এলাকার অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।’ রাইজিংবিডি/বান্দরবান/২ জুলাই ২০১৯/এস বাসু দাশ/টিপু