সারা বাংলা

‘বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে না হাঁড়িভাঙ্গা আম’

নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর : পদাগঞ্জে গেলেই বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে দেখা যায় হাঁড়িভাঙ্গা আমের বাগান। কুতুবপুর, খোড়াগাছ পাইকারের হাট, পদাগঞ্জ, কদমতলী, পীরের হাট, তালপুকুর, মাঠের হাট, আখড়ের হাট ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে হচ্ছে আমের চাষ।

এখানকার মাটি আম চাষের সম্পূর্ণ উপযোগী হওয়ায়   এলাকার চাষিরা অন্যান্য ফসলের চেয়ে আমবাগানে বেশি মনোযোগী হয়ে উঠছেন।

আম চাষিরা বলেন, হাঁড়িভাঙ্গা আমের স্বাদ নিতে শুরু করেছেন রংপুরের পাশাপাশি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষ। সারা দেশে এই আমের চাহিদা থাকলে সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি না জানা, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও উদ্যোক্তার অভাবে বিদেশে বাণিজ্যিকভাবে রপ্তানি করতে পারছেন না চাষিরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, রংপুরে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে হাঁড়িভাঙ্গার উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে ৯ মেট্রিকটন।

   

মিঠাপুকুরের আমচাষি শাহজাহান বকুল রাইজিংবিডিকে বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার ফলন কিছুটা কম। তবে  দাম একটু বেশি। এই আম দেশে সুনাম অর্জন করলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সহকারী  পরিচালক আবু সায়েম জানান, জেলায় আমের আবাদ হয়েছে সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে হাঁড়িভাঙ্গার আবাদ হয়েছে ১ হাজার ২৫০ হেক্টর। অন্যান্য স্থানের আম বিদেশে গেলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সংরক্ষণের উপায় না থাকায় বাণিজ্যিকভাবে দেশের বাইরে পাঠানো যাচ্ছে না। রাইজিংবিডি/রংপুর/২ জুলাই ২০১৯/নজরুল মৃধা/সাইফ