সারা বাংলা

‘বর্ষা’ শুরু হতেই আতঙ্কে লামাবাসী

বান্দরবান সংবাদদাতা: বান্দরবানের লামায় ‘বর্ষাকাল’ আসে দুর্ভোগ ও আতঙ্ক নিয়ে। এবারো বর্ষা মৌসুম শুরু হতেই মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে বন্যা আতঙ্ক।

ফলে এখনই  ঘুম হারাম হয়ে গেছে এখানের পৌর এলাকার ৪০ হাজার মানুষের। কারণ টানা বৃষ্টি শুরু হলেই দেখা দেবে বন্যা, পাহাড় ধস, নদী ও খালের দু’পাড় ভাঙন। যা হয়ে উঠবে তাদের মহা দুর্ভোগের কারণ।

টানা বৃষ্টির কারণে বসতঘর, দোকান, অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সব কিছুই তলিয়ে যাওয়া লামা পৌর এলাকার প্রতি বছরেরই চিত্র। এ বছরও ইতোমধ্যে সে আলামত শুরু হয়েছে।

লামার আরেকটি দুঃখ হচ্ছে পাহাড় ধস। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীরা এখন সে শঙ্কায়।

লামা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাপান বড়ুয়া বলেন, ‘বর্ষা শুরু হতেই বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বন্যা আতঙ্ক শুরু হয়েছে।’

প্রতিবছর হঠাৎ বন্যার কারণে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার মালামাল পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যায় বলেও জানান তিনি।

প্রতিবছর বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে মাতামুহুরী নদীর দু’কুল উপচে বন্যার সৃষ্টি করে। এ সময় লামা পৌর শহরসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। লামা-আলীকদম সড়কের একাধিক স্থানই তলিয়ে যায় বন্যার পানিতে। ফলে সড়ক যোগাযোগেও অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এর দুর্ভোগ পোহাতে হয় এখানের ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের।

লামা বাজার স’মিল এলাকার বাসিন্দা মো. নবীর উদ্দিন বলেন, ‘বর্ষা শুরু হতেই পরিবার নিয়ে আমি শঙ্কিত।’ তিনি দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর কাছে স্থায়ী সমাধান চেয়েছেন।

লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্ষায় লামার মানুষের দুর্ভোগ অবর্ণনীয়। সমস্যাগুলো সম্পর্কে আগেই সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে।’ রাইজিংবিডি/ বান্দরবান/ ৪ জুলাই ২০১৯/বাসু দাশ/টিপু