সারা বাংলা

থানচি ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছে প্রশাসন

বান্দরবান সংবাদদাতা : ভারী বর্ষণের কারণে বান্দরবানের থানচি উপজেলার সাঙ্গু নদীর পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। যাতায়াতে ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে থানচি ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছে প্রশাসন।

থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল হক মৃদুল এ তথ্য জানিয়েছেন।

শনিবার রাত ১০টা দিকে মোবাইল ফোনে নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, দু’দিনের টানা বর্ষণে সাঙ্গু নদীতে প্রচুর পানি হওয়ায় নৌপথে থানচির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ভ্রমণে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে হতে পারেন পর্যটকরা। এ ছাড়া নদীতে পানি বেশি হওয়ার নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে আসলেও কোনো নৌকা পাওয়া যাবে না। স্থানীয়রাও নৌ পথে যাতায়াত বন্ধ রেখেছেন। তবে নদীর অবস্থা স্বাভাবিক হলে আগের মত আবারো পর্যটকরা থানচিতে বেড়াতে আসতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ইউএনও।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সারি সারি সবুজ পাহাড়, আর পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলা সাঙ্গু নদী। সাঙ্গুর বুকে প্রাকৃতিকগত ভাবেই থরে থরে সাজানো আছে বড় বড় পাথর। এসবের টানেই দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের উপজেলা থানচি ভ্রমণে আসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকরা।

থানচির নাফাখুম, আমিয়াখুম, ভেলাখুম, বড় পাথর, রেমাক্রী, আন্ধারমানিক, তিন্দু ও বড় মদক এলাকায় প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক ভ্রমণ করে থাকে।

আরো জানা গেছে, নিরাপত্তার কারণে থানচির এসব পর্যটন এলাকায় ভ্রমণে যাওয়ার জন্য প্রত্যেক পর্যটককে স্থানীয় থানায় ও বিজিবি ক্যাম্পে যৌথ নিবন্ধন করে গন্তব্যে যেতে হয়, এখন কোন পর্যটককে ভ্রমণে যেতে অনুমতি প্রদান করছেনা।

এদিকে, গত ৩০ জুন রোয়াংছড়ি থেকে তিনপাসাইতার বেড়ানো শেষে পায়ে হেঁটে রুমার পাইন্দু খাল পেরোতে গিয়ে প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়ে এক নৌবাহিনী কর্মকর্তা ও এক কলেজ ছাত্রী নিখোঁজ হন। পরের দিন ১লা জুলাই নিখোঁজ দুজনেরই পাইন্দু খাল থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

 

রাইজিংবিডি/বান্দরবান/৭  জুলাই ২০১৯/বাসু দাশ/লাকী