সারা বাংলা

মনাজোড়া খালে প্রাণের স্পন্দন

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা: দেশের অনেক মৃতপ্রায় খালের মতো পলি পড়ে ভরাট হয়ে গিয়েছিল মনাজোড়া খালটিও। শুকিয়ে পরিণত হয়েছিল মরা খালে।

সে খালটি এখন ফিরে পেয়েছে প্রাণ। বইছে স্রোতধারা। চলছে নৌকা, মাছ ধরছে মানুষ।

মনাজোড়া খালটির অবস্থান হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল ইউনিয়নের হাওর এলাকায় ।  এখানের বেশ কয়েকটি খালই খননের অভাবে ছিল মৃতপ্রায়। ফলে আশপাশের কৃষকরা সেচসুবিধা বঞ্চিত হচ্ছিল। এসব খাল পুনঃখনন হলে সেচ সুবিধা পেয়ে চাষিরা উপকৃত হবেন। ক্ষেতে ভাল উৎপাদনে সমর্থ হবেন।

বিষয়টির প্রতি নজর দেন পইল ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ। তিনি খালগুলো খননের আবেদন করেন। এতে সাড়া দিয়ে বিএডিসি বরাদ্দ প্রদান করে। ফলে প্রথম ধাপে বড়খালের ৪ কিলোমিটার, মনাজোড়া খালের দেড় কিলোমিটার ও নাজিরপুর খালের দেড় কিলোমিটার খনন হয়। এরপরও মনাজোড়া খালের আরও ১ কিলোমিটার এবং নাজিরপুর খালের দেড় কিলোমিটার খনন করা হয়।

খালগুলো খনন হওয়ায় চাষিরা সেচ সুবিধা পেয়েছে। ফলে বোরোসহ অন্যান্য ফসলের ভাল আবাদ হয়েছে। অন্যদিকে খনন করা খালের মাটি দিয়ে পাড় ভরাট করায় রাস্তা তৈরি হয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে চাষিরা যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছেন। এছাড়া খালের পানিতে নৌকা নিয়েও চলাচল করা যায়। খালে পাওয়া যাচ্ছে দেশীয় মাছ। খাল খনন হওয়ায় প্রায় ৫ হাজার চাষি বিভিন্নভাবে উপকৃত হচ্ছেন।

পইল ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ বলেন, ‘মনাজোড়া খালটি পলি পড়ে ভরাট হয়ে গিয়েছিল। এতে ঠিকমত পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় হাওরের বিশাল অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো। এতে চাষাবাদে সমস্যা হতো। এখন পুনঃখনন হয়েছে। এ বর্ষায় খালের উত্তর পূর্বাংশ পরিদর্শনে গিয়ে বেশ ভাল লেগেছে। নৌকা চলছে খালের বুক চিড়ে। কেউবা মাছ ধরায় ব্যস্ত। স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানলাম খাল খননের ফলে সৃষ্ট নানাবিধ সুবিধার কথা। অথচ গত বছরও এই সময়ে খালে নৌকা চালানো ছিল অলীক কল্পনা।’

তিনি বলেন, এ বছর হাওর পানির অভাবে খা খা করলেও মনাজোড়ায় নৌকা চলছে নির্বিঘ্নে। প্রায় আট ফুট পানি আছে খালে। এই পানি দিয়ে আগামী কয়েকমাস হাওরে কৃষকের প্রয়োজন মিটানো যাবে অনায়াসে।’

 

রাইজিংবিডি/ হবিগঞ্জ/৮ জুলাই ২০১৯/মোঃ মামুন চৌধুরী/টিপু