সারা বাংলা

স্কুলটি হয়ে উঠতে পারে কান্নার কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল: দেয়াল থেকে পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে। দেবে গেছে মেঝের কয়েকটি অংশ। ফেটে গেছে ভবনের কলাম ও বিম। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি পড়ছে ছাদ চুয়ে।

এই হচ্ছে একটি পরিত্যক্ত ভবনের চিত্র। আসলে এটি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার একটি প্রাইমারি স্কুলের ভবন। এমন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা, তবুও ক্লাস চলছে ভবনটিতে। যা যে কোনো মুহূর্তেই হয়ে উঠতে পারে অভিভাবকদের কান্নার কারণ।

‘কাগমারি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাকাল ১৮১২ ইং খ্রিস্টাব্দ। প্রায় দুই শতাব্দিকাল পুরনো স্কুলটিতে রয়েছে একটি টিনসেট বিল্ডিং ও দুইটি পাকা ভবন। এরমধ্যে একটি ৪ কক্ষের পাকা ভবন নির্মিত হয়েছে ২০০১ সালে। এখন সেটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ২০১৫ সালে কর্তৃপক্ষ ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ।

দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, পরিত্যক্ত ঘোষণার চার বছর পরও শিশুরা ঝুঁকির মধ্যেই এই ভবনে ক্লাস করছে। কর্তৃপক্ষ বলছেন বিকল্প কোন ভবন না থাকায় তারা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই ক্লাশ নিচ্ছেন। অন্য পাকা ভবন ও টিনসেট বিল্ডিংয়ের একটির অর্ধেক অংশ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষ এবং বাকি অংশ শিক্ষকরা অফিস হিসেবে ব্যবহার করছেন। অন্য ভবনের দুটি কক্ষে ক্লাস চলে।

 

দুর্ঘটনার আশঙ্কার মধ্যেই শিশুদের নিয়মিত ক্লাস চলছে। বর্তমানে স্কুলটিতে ২৬৩ শিক্ষার্থী রয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলআরা আফরোজ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বসার জায়গা পর্যাপ্ত না থাকায় বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত ভবনে ক্লাস নিতে হচ্ছে। এর আগে ২০১৫ সালে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরাও ভেঙে পড়ার ভয়ে নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসছে না। দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। নতুন একটি ভবন নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীন বলেন, ‘ভবনটি পরিত্যক্তের বিষয়টি আমার জানা নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

রাইজিংবিডি/টাঙ্গাইল/৯ জুলাই ২০১৯/শাহরিয়ার সিফাত/টিপু