সারা বাংলা

বান্দরবানে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী

বান্দরবান সংবাদদাতা : টানা নয়দিনের প্রবল বর্ষণে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বান্দরবানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরেছেন।

শুক্রবার বৃষ্টি কম হওয়ার নিম্নাঞ্চল থেকে পানি কিছুটা কমলেও শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে ফের পানি বাড়তে শুরু করেছে।

জানা যায়,  জেলা সদরের আর্মিপাড়া, ইসলামপুর, বাসস্টেশন ছাড়াও লামা, আলীকদম, রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবার ফলে এই ২০ হাজার মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বান্দরবান কেরাণীহাট সড়কের বাজালিয়ার বড়দোয়ার এলাকার সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে গত মঙ্গলবার থেকে ৫ম দিনের মতো বান্দরবানের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

জেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১২৬টি। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পৌরসভাসহ বিভিন্ন সংস্থা খাবার বিতরণ করছে। বন্যায় বহু ঘরবাড়ি তলিয়ে যাবার পাশাপাশি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বাড়ছে ভোগ্য পণ্যের দাম।

এ বিষয়ে বান্দরবান পৌরসভার মেয়র ইসলাম বেবী রাইজিংবিডিকে  বলেন, শহরের বন্যা কবলিত এলাকার ৩ হাজার মানুষকে প্রতি বেলা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, বন্যা দুর্গতদের জন্য জেলায় ৪৫০ মেট্রিক টন খাদ্যশষ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সহায়তা আরো বাড়ানো হবে।

বান্দরবানের বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দাশ ঝন্টু রাইজিংবিডিকে জানান, বান্দরবান কেরানিহাট সড়কের বাজালিয়ায় সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারো বাস চলাচল করবে।

 

রাইজিংবিডি/ বান্দরবান/১৩ জুলাই, ২০১৯/ এস বাসু দাশ /লাকী