সারা বাংলা

রংপুর বিভাগে আবার বন্যার আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর ও কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা : রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় আবার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এ বিভাগে ১১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত পানিতে ডুবে এবং সাপের কামড়ে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। রংপুরসহ আশপাশের এলাকায় সারা দিন ভারি বর্ষণ হয়েছে। কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যার পানি ঘর-বাড়ি থেকে নেমে যেতে না যেতেই আবার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বানভাসী মানুষরা। এ অবস্থায় বাঁধ ও উঁচু সড়কসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় নেয়া মানুষদের ঘরে ফেরা অনিশ্চি হয়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চর যাত্রাপুর গ্রামের আব্দুল হক বলেন, বন্যার পানিতে ঘর-বাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় উঁচু সড়কে আশ্রয় নিয়েছিলাম। পানি ঘর-বাড়ি থেকে কিছুটা নেমে যাওয়ায় ফিরে এসেছি। কিন্তু আবার পানি বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে আবার মনে হয় পরিবার নিয়ে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হবে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে ৬৭২টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা বন্যাদুর্গত এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ নানা ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দিচ্ছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে লোকজনকে সচেতন করা হচ্ছে।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোস্তাফা খালেদ আহমেদ জানিয়েছেন, মেডিক্যাল টিম বন্যাদুর্গত এলাকায় অবস্থান করে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা টিম সেখানেই অবস্থান করবে।

তিনি আরো জানান, রংপুর বিভাগে পানিতে ডুবে ও সাপের দংশনে ৩৩ জন মানুষ মারা গেছে। সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে কুড়িগ্রাম জেলায়।

তবে এখন পর্যন্ত বন্যাদুর্গত এলাকায় ডায়রিয়া বা অন্য কোনো রোগের প্রাদুর্ভাবের কথা শোনা যায়নি। রাইজিংবিডি/রংপুর/২৪ জুলাই ২০১৯/নজরুল মৃধা/বাদশাহ্‌ সৈকত/রফিক