সারা বাংলা

ময়মনসিংহে বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক পৃথক বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছে।

এরা হলেন- মাদক ব্যবসায়ী জনি মিয়া ও কিশোরীকে ধর্ষণের আসামি জহিরুল ইসলাম।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, রোববার  রাত সাড়ে ১২ টায় গোপন সংবাদে গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে চরপুলিয়ামারী এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী অবস্থান করছে। তাদেরকে ধরতে অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি ও ঢিল ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে অপরাধীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী জনিকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় দুই পুলিশ সদস্য আক্রাম হোসেন ও মতিউর রহমান আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ১৪ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ২০০ গ্রাম হেরোইন ও ১টি স্টিলের চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত জনির বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় ৩ টি মাদকের মামলাসহ ১১ টি মামলা রয়েছে।

অপরদিকে ফুলবাড়িয়ায় গোয়েন্দা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জহিরুল ইসলাম (২০) । নিহত জহিরুল ফুলবাড়িয়ার কৈয়ারচালা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাত আড়াইটায় ফুলবাড়িয়ার পাট্রিরা কালাদহ ঈদগাঁ র সামনে অবস্থানকালে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে জহিরুলরা । এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি বের করলে আসামিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। একজন আসামিকে আহত অবস্থায় একটি পাইপগানসহ গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ৩ আগস্ট ফুলবাড়িয়ার পলাশতলী গ্রামের মুত ইউনুস আলীর মেয়ে খুকি আক্তার (১৬) রাত আটটায় জহিরুলসহ তিন জন মিলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যায়। এ ঘটনায় ফুলবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের হয়। রাইজিংবিডি/ময়মনসিংহ/৫আগস্ট ২০১৯/শেখ মহিউদ্দিন আহাম্মদ/টিপু