সারা বাংলা

নরসিংদীতে পশু বেচা-কেনা জমেনি

নরসিংদী সংবাদদাতা : আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে নরসিংদীর ৬ উপজেলায় ৭৩টি অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এ সব পশুর হাটের মধ্যে নরসিংদী সদর উপজেলায় ১১টি, পলাশ উপজেলায় ৮টি, শিবপুর উপজেলায় ১৪টি, মনোহরদীতে ৯টি, বেলাবতে ৬টি ও রায়পুরা উপজেলায় ৬টি অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে।

ঈদের আর মাত্র ৫ দিন বাকি থাকলেও এখনো হাট জমেনি। হাটে পর্যাপ্ত পশুর যোগান থাকলেও বেচাকেনা না হওয়ায় কিছুটা চিন্তিত বেপারিরা।

মঙ্গলবার শিবপুরের ধানুয়ায় অস্থায়ী পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, বেপারিরা পর্যাপ্ত সংখ্যক গরু, মহিষ নিয়ে এসেছে। ছোট থেকে বড় সব ধরনের গরু-মহিষের পাশাপাশি রয়েছে ছাগল ও ভেড়া। এ সব পশু দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করা। নরসিংদীর হাটে দেশের বাইরের গরু না আসায় খুশি স্থানীয় বিক্রেতা ও খামারিরা। তবে বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কম বলে জানান তারা। দু-একদিনের মধ্যে ক্রেতা সমাগম বাড়বে হবে বলে আশা করছেন তারা।

বেপারিরা বলছেন, কিছু ক্রেতা বাজারে এলেও দাম কম বলছেন। অনেকে এত আগে পশু কিনতে চান না। তারা বাজারে এসে দাম পর্যবেক্ষণ করছেন। শেষ কয়েক দিনে বাজার পরিস্থিতি দেখে পশু কিনবেন।

তারা বলেন, খাদ্যের দাম বাড়ায় পশু লালনপালনের খরচ বেড়েছে। দাম পড়ে গেলে লোকসান গুনতে হবে। ন্যায্য দাম পেলে পশু বিক্রি করে দিচ্ছেন। ঈদের ছুটি শুরু হলে বেচাকেনা বাড়বে বলে আশাবাদী বেপারিরা। 

ক্রেতারা হাটে ঘুরে ফিরছেন সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পশু কেনার জন্য। অনেক ক্রেতা কিনতে পারছেন, কেউ-কেউ অপেক্ষা করছেন শেষ মুহূর্তের জন্য।

ক্রেতারা বলছেন, হাটে পছন্দসই পশুর অভাব নেই। তবে মাত্রাতিরিক্ত দাম চাইছেন। এতে সাধ্যের মধ্যে পশু কেনা কষ্টকর। ঈদ ঘনিয়ে এলে ক্রেতার উপস্থিতি বাড়লেও পশুর দাম এত বেশি থাকবে না বলে আশাবাদী তারা।

উপজেলার স্থায়ী পশুর হাটে বেচাকেনা জমেছে বলে জানান ক্রেতা- বিক্রেতারা। রাইজিংবিডি/নরসিংদী/৬ আগস্ট ২০১৯/গাজী হানিফ মাহমুদ/বকুল