সারা বাংলা

সিলেটে হাটভর্তি পশু, বিক্রি কম

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট : কোরবানির ঈদের আর মাত্র দুই দিন বাকি। হাটভর্তি পশু। আসছেন ক্রেতারাও। করছেন দরদাম। তবে অনেকেই ফিরছেন খালি হাতে। আবার কেউ কেউ নিয়ে যাচ্ছেন গরু। গরুর পাশাপাশি হাটে ছাগল নিয়েও এসেছেন অনেক বেপারি।

বিক্রেতারা বলছেন, হাটে ক্রেতাদের সমাগম ঘটলেও দরদাম যাচাই করে ফিরছেন তারা। তবে শনিবার থেকেই বিক্রির ধুম পড়বে বলে আশা করছেন তারা। একই কথা বলেছেন ক্রেতারাও।

শুক্রবার বিকেলে সিলেটের প্রধান পশুর হাট কাজিরবাজারে কথা হয় কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে । তারা রাইজিংবিডিকে বললেন, মূলত পশু রাখার স্থান না থাকায় ঈদের শেষ মূহুর্তেই গরু কিনে থাকেন শহরের বাসিন্দারা। যে কারণে আজ পশুর হাটে ভিড় বাড়লেও বিক্রি কম হচ্ছে।

নগরীর টিলাগড়ের মদনীবাগ থেকে গরু দেখতে আসা শরীফ আফজল বললেন, তিনি কাজির বাজার হাট ছাড়াও টিলাগড়ের পশুর হাটেও গরু দেখে এসেছেন। মূলত যাচাই-বাছাই করে তারপর পছন্দের গরু কিনবেন বলে জানালেন তিনি।

তবে আফজল গরু না কিনলেও শাহী ঈদগাহর রশিদ ফিরছিলেন গরু নিয়ে। তিনি বললেন, পছন্দ হওয়াতে তিনি আজই গরু কিনে নিয়েছেন। তিনি ৬০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনেছেন।

যশোর থেকে ১২টি গরু নিয়ে এসেছেন হাবিবুল। তিনি এখন পর্যন্ত একটিও গরু বিক্রি করতে পারেননি। তবে শুক্রবার ক্রেতাদের সমাগম বেড়েছে। শনিবার তার কিছু গরু বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানালেন, সিলেটের ক্রেতারা ঈদের একদিন আগেই গরু কিনে থাকেন। এ কারণে এখনো তার কোনো গরু বিক্রি হয়নি। তবে এখন যেহেতু ক্রেতাদের আগমন বেড়েছে; সেহেতু সব গরু বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি।

সিলেটের পশুর হাটে বড় গরুর চেয়ে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদাই বেশি। এ জন্য ৬০ থেকে ৯০ হাজার টাকা দামের গরু তুলনামূলক বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাট সংশ্লিষ্টরা। এবার বেশিরভাগ গরুই দেশীয়। কাজিরবাজার পশুর হাট ছাড়াও টিলাগড়ের পশুর হাটের চিত্রও এমন।

শুক্রবারও কাজিরবাজারে পশুর ট্রাক এসেছে। জুমার পরে বেশ কয়েকটি ট্রাককে পশু নিয়ে বাজারে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। রাতে আরও পশুবাহী ট্রাক এসে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন বেপারিরা।

পশুর হাটে নিরাপত্তায় পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) আবদুল ওয়াহাব। একই সঙ্গে সড়কে পশুবাহী ট্রাক আটকে চাঁদাবাজি হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানালেন তিনি।

জাল নোট সনাক্তকরণ বুথ: কাজিরবাজারের পশুর হাটে জালনোট সনাক্তকরণ বুথ চালু করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের নেতৃত্বে ও ২৩টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সহায়তায় চালু হওয়া এ বুথের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম ব্যবস্থাপক (ব্যাংকিং) মো. আতিকুর রহমান।

এ ছাড়া নগরীর টিলাগড় ও শহরতলীর পীরেরবাজারে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের নেতৃত্বে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমুহ আরো দুটি বুথ পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। রাইজিংবিডি/সিলেট/০৯ আগস্ট ২০১৯/আব্দুল্লাহ আল নোমান/বকুল