সারা বাংলা

ভারি বর্ষণে মৎস্য ঘেরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বাগেরহাট সংবাদদাতা : ভারি বর্ষণে বাগেরহাটের আড়াইশত মৎস্য ঘেরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত গভীর রাত থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত একটানা ৬ ঘণ্টার বিরামহীন বর্ষণে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের তিনটি পৌরসভা ও উপজেলার নিম্নাঞ্চলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে।

এদিকে, বৃষ্টিতে সকাল থেকে শহরের রাস্তা-ঘাট ছিল ফাঁকা। গড়ে ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের ফলে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা কাজের সন্ধানে বাইরে যেতে পারছে না। কৃষিতেও প্রভাব পড়েছে এ ভারি বর্ষণে। তাছাড়া, কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। টানা বৃষ্টিতে বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া, ষাটগম্বুজ, ডেমা, রাধাবল্লব, কাশিমপুর ও বাগেরহাট পৌরসভার অধিকাংশ এলাকা বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বাগেরহাট পৌরসভার খারদ্বার, বাসাবাটি, হাড়িখালী, নাগের বাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া পৌরসভার সামনের সড়ক, শালতলা মোড়, মিঠাপুকুর পাড়ের সড়ক পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।

বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মুশফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘বৃষ্টিতে রাস্তায় হাঁটু পানির কারণে আমাদের এলাকার জনসাধারণের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে। এক প্রকার পানিবন্দি হয়ে পড়েছি।’’ 

এদিকে, বাগেরহাট পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাশেম শিপন বলেন, ‘‘ঘুম থেকে উঠেই ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের জন্য নিজেই কাজ শুরু করি। পৌরসভার পক্ষ থেকেও অনেক কর্মী এ কাজে নিয়োজিত ছিল। আশা করি বৃষ্টি কমলে দ্রুত পানির ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে মানুষ।’’  

কাড়াপাড়া এলাকার ঘের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, ‘‘বৃষ্টির পানিতে আমার ঘেরসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি ঘের ভেসে গেছে। এতে আমার প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’’   

বাগেরহাট সদর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, ‘‘দুই থেকে আড়াইশত ঘের বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এ বৃষ্টি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে সহস্রাধিক মৎস্য ঘের তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমরা মৎস্য চাষিদের নেট দিয়ে নিজ নিজ ঘের নিরাপদ রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’’ 

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘বাগেরহাটে বছরের সর্বোচ্চ ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার ফলে কিছু পানের বরাজ ও সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। তবে দ্রুত পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি কমে যাবে।’’ 

 

রাইজিংবিডি/ বাগেরহাট /১৭ আগস্ট ২০১৯/আলী আকবর টুটুল /জেনিস/বকুল