সারা বাংলা

সিলেটে টায়ারে এডিস মশার লার্ভা, জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট : সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কদমতলীতে ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস মশার অস্তিত্ব মেলে অনেক আগেই। সিলেটের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের কর্মীরা নমুনা পরীক্ষা করে এখানে এডিস মশার লার্ভা থাকার কথা জানান। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযানও চালায় সিটি কর্পোরেশন। একই সঙ্গে পরিত্যক্ত টায়ার-টিউবসহ এডিসের আবাসস্থল ধ্বংসে ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারিও করা হয়।

এরপর ব্যবসায়ীরা তা সরিয়েও নেয়। তবে ফের কদমতলীতে পরিত্যক্ত টায়ারে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পেয়েছে সিটি কর্পোরেশনের অভিযানিক দল। একই সঙ্গে পূর্ণবয়স্ক মশারও সন্ধান মিলেছে। এ কারণে দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ও একটি প্রতিষ্ঠানের মালামাল জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এ অভিযানে কদমতলী এলাকায় পরিত্যক্ত টায়ারে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ঢাকা মটরসকে ৫০ হাজার এবং টায়ার মার্কেটকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া পুরাতন টায়ার, টিউবসহ পানি জমে থাকার কারণে ভাইভাই মটরসের বেশ কিছু মালামাল জব্দ করা হয়েছে।

অভিযান শেষে সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিসিকের ২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ড গুরুত্বপূর্ণ ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এখানে ট্রেন স্টেশন, বাস টার্মিনাল, ট্রাক টার্মিনাল থাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য টায়ার টিউবের দোকান। এসব দোকানের সামনে স্তূপ আকারে থাকা গাড়ির টায়ারের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে। অনেক স্থানে পূর্ণবয়স্ক মশার সন্ধানও মিলেছে।

তিনি বলেন, এডিসের লার্ভা এবং পুর্ণবয়স্ক মশা পাওয়ায় ধারণা করা যাচ্ছে, এডিস মশার লার্ভা এই ওয়ার্ডগুলোর বিভিন্ন স্থানে থাকতে পারে। এ জন্য সিটি কর্পোরেশন মশার লার্ভা ধ্বংসের পাশাপাশি মশার আবাসস্থল ধ্বংসসহ মশা নিধনে অভিযান অব্যাহত রাখবে। মশা নিধনে তিনি সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শও দেন।

অভিযানে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, সিসিকের প্যানেল মেয়র-১ তৌফিক বক্স লিপন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমন, জেলা কীটতত্ববিদ মো. নজরুল ইসলাম, সিসিকের প্রকৌশলী আব্দুল আজিজসহ সিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। রাইজিংবিডি/সিলেট/২২ আগস্ট ২০১৯/আব্দুল্লাহ আল নোমান/বকুল