কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি মোহাম্মদ হাসান (২৮) নামে রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন।
সোমবার ভোর রাতের দিকে টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হাসান টেকনাফ নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ই-ব্লকের হামিদ উল্লাহর ছেলে। এসময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় এলজি, পাঁচটি তাজা কার্তুজ ও আটটি খোসা উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ রাইজিংবিডিকে জানান, গত ২২ আগস্ট টেকনাফের হ্নীলার যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামিসহ একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি দেখে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এতে উভয়পক্ষের গোলাগুলিতে এক রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এর আগে, গত ২২ আগস্ট রাতে টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরা এলাকায় বাড়ির সামনে থেকে ফিল্ম স্টাইলে হ্নীলা ইউনিয়নের ৯নং যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুককে (৩০) তুলে নিয়ে পাহাড়ে গুলি করে হত্যা করে একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী। রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/২৬ আগস্ট ২০১৯/সুজাউদ্দিন রুবেল/বুলাকী