সারা বাংলা

শ্লীলতাহানির অপমানে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা: শ্লীলতাহানির অপমান সইতে না পেরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে কুষ্টিয়া সদরের বাড়াদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ফাহিমা।

এ ঘটনায় ছাত্রীর পিতা সদর উপজেলার জগতি এলাকার বাসিন্দা ফারুক খান বাদি হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় অভিযুক্ত অটোরিক্সা চালক সুজ্জলকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুজ্জল একই এলাকার বদর শাহের ছেলে। তার দুই স্ত্রী ও এক সন্তান রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যাতায়াতের পথে সুজ্জল ফাহিমাকে উত্ত্যক্ত করতো। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে ফাহিমা প্রতিবেশীর বাড়িতে দুধ আনতে যাওয়ার পথিমধ্যে সুজ্জল তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। বাড়িতে এসে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানায় ফাহিমা। এরপর ফাহিমার মা মেয়েকে নিয়ে সুজ্জলের বাড়িতে গিয়ে বিচার দিলে সুজ্জলের পরিবারের লোকজন অশ্রাব্য ভাষায় গালি-গালাজ ও অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ফাহিমা এ অপমান সইতে না পেরে সেখান থেকে দৌড়ে বাড়িতে এসে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

ফাহিমার স্কুল বাড়াদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফুর রহমান জানান , ফাহিমা মঙ্গলবারও স্কুলে এসেছিল। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তার মা এসে ডেকে নিয়ে যাওয়ার ঘন্টাখানেক পরেই শুনি ফাহিমা আত্মহত্যা করেছে। পরে জানতে পারি সুজ্জল নামের এক বখাটের শ্লীলতাহানির অপমান সইতে না পেরে আত্মত্যা করেছে। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন জানান, স্কুলছাত্রী ফাহিমাকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ওই ছাত্রীর পিতার দেয়া মামলায় অভিযুক্ত আসামি সুজ্জলকে বুধবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাইজিংবিডি/ কুষ্টিয়া/২৯ আগস্ট ২০১৯/কাঞ্চন কুমার/টিপু