নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি প্রকাশ হয়েছে শনিবার। প্রকাশিত নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকায় বাদ পড়েছেন ১৯ লাখেরও বেশি মানুষ। এদের মধ্যে বাঙালী হিন্দু-মুসলিমের সংখ্যা ১৭ লাখ।
এ কারণে এনআরসি প্রকাশের পর সিলেটের কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, বড়লেখাসহ সীমান্তের উপজেলাগুলোতে বাড়তি নজরদারি করা হচ্ছে। পুশ-ইন ঠেকাতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির বর্ডার আউটপোস্ট (ফাঁড়ি) ছাড়াও সীমান্ত এলাকায় পুলিশ প্রশাসনও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৯ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল সাঈদ হোসেন বলেন, সীমান্তে নরমাল্লি (স্বাভাবিক) যাতে কোন ধরণের অবৈধ অনুপ্রবেশ না ঘটে সেজন্য নজরদারি করা হচ্ছে। তবে ফোর্সের সংখ্যা (বিজিবি সদস্য) আগের মতোই রয়েছে।
তিনি জানান, আসামের এনআরসি প্রকাশের বিষয়ে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে সীমান্তে ওই ধরনের প্রেস (জোরপূর্বক) কিংবা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নেই। সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলেও জানান তিনি।
সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবির পাশাপাশি পুলিশও সবসময়ই সতর্ক থাকে বলে জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। এনআরসি প্রকাশের পর তারা আরও সতর্ক রয়েছেন। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় স্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করছে বলেও জানান তিনি।
দেশভাগের সময় সিলেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দিয়ে আসাম থেকে আলাদা হয়ে পাকিস্তানভুক্ত হয়। তবে র্যাডক্লিফ লাইনের কারণে বৃহৎত্তর সিলেটের করিমগঞ্জ, বদরপুর, হাইলাকান্দিসহ বেশ কিছু থানা ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। রাইজিংবিডি/সিলেট/৩১ আগস্ট ২০১৯/আব্দুল্লাহ আল নোমান/সাজেদ