সারা বাংলা

গৃহবধূ ধর্ষণ-বিয়ে : পাবনার ওসি প্রত্যাহার, এসআই বরখাস্ত

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনায় গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ধর্ষকের সাথে ওই গৃহবধুকে থানায় বিয়ে দেয়ার ঘটনায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হককে প্রত্যাহার ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) একরামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘থানা কম্পাউন্ডে এই বিয়ে দেয়ার ঘটনায় ওসি ওবায়দুল হককে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। সেইসাথে কাজী ডেকে থানায় বিয়ে দেয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা থাকায় এসআই একরামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আরো দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে আলী হোসেন ও সঞ্জু হোসেন নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে ৫ জন আসামির মধ্যে মোট চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো।

উল্লেখ্য, পাবনা সদর উপজেলার সাহাপুর যশোদল গ্রামের এক গৃহবধুর সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক ছিল একই গ্রামের রাসেল হোসেন নামের এক যুবকের। গত ২৯ আগস্ট রাতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে রাসেল ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর থানায় অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ।

কিন্তু মামলা নথিভূক্ত না করে মীমাংসা করার জন্য রাসেলের সাথে গৃহবধুকে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে সদর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং ধর্ষণ মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয় জেলা পুলিশ।

পরে গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই গৃহবধূকে থানায় ডেকে নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়। আর রাসেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বুধবার সকালে আরেক আসামি দাপুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ঘন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর ওসিকে প্রত্যাহার ও এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। রাইজিংবিডি/পাবনা/১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯/শাহীন রহমান/সনি/শাহনেওয়াজ