নোয়াখালী প্রতিনিধি : জেলার সদরে তিন বছরের শিশু সন্তানসহ সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।
রোববার এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করলেও ননদ ও দেবর পালিয়ে যায়। এর আগে শনিবার উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের কাজীরচর গ্রামের আইয়ুব আলীর বাড়ি থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধুর পান্না বেগম (২২) ওই বাড়ির মো. সুমনের স্ত্রী ও তার মেয়ের নাম লামিয়া (০৩)। নিহতের বাবার বাড়ির লোকজনের দাবি তাদের হত্যা করা হযেছে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় সময় পান্নাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন শ্বশুর-ননদ ও দেবর। গতকালও পারিবারিক কলহের জেরে তাকে মারধর করে এবং গলাটিপে হত্যা করে। পরে শিশু সন্তানটি কান্না করলে তাকেও হত্যা করে তারা।
সুধারাম মডেল থানার ওসি নবীর হোসেন রাইজিংবিডিকে জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত গৃহবধুর শ্বশুর আইয়ুব আলীকে আটক করা হয়েছে। নিহতের বাবার বাড়ির লোকজন হত্যা মামলা দায়ের করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাইজিংবিডি/নোয়াখালী/১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯/মাওলা সুজন/বুলাকী