সারা বাংলা

‘অপকর্মের জন‌্য ক্ষমা চান’

তথ‌্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপিকে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘অতীত অপকর্মের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চান। ‘

শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে দি সিনিয়র সিটিজেন্স সোসাইটি-চট্টগ্রাম আয়োজিত বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজে অবৈধভাবে অর্জিত কালো টাকা জরিমানা দিয়ে সাদা করেছিলেন। কোকোর দুর্নীতি ধরা পড়েছে সিঙ্গাপুরে। তারেক রহমানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। দুর্নীতির দায়ে তারেক রহমানের দশ বছর সাজা হয়েছে। এতিমখানার জন্য যে টাকা এসেছে সে টাকা এতিমখানার একাউন্টে না রেখে নিজের ব্যক্তিগত একাউন্টে নিয়ে খালেদা জিয়া নিজে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আজ জেলে আছেন। যাদের নেতা-নেত্রী দেশকে দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত করেছিল, তাদের তো এ নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকারই নেই।’

দি সিনিয়র সিটিজেন্স সোসাইটি-চট্টগ্রমের সভাপতি দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, দি সিনিয়র সিটিজেন্স সোসাইটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক আজহার মিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক লায়ন এম এ শামসুল হক।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এ এ এম জিয়া হোসাইন, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, কবি ও লেখক সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত ও উদীচী চট্টগ্রামের সভাপতি লেখক বেগম মুশতারি শফিকে খ্যাতিমান বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিএনপির আমলে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। হাওয়া ভবন তৈরি করে সমস্ত ব্যবসা থেকে ১০ পার্সেন্ট করে কমিশন নেওয়া এবং দেশের সমস্ত ব্যবসার সঙ্গে হাওয়া ভবনের মাধ্যমে তারেক জিয়া ও বিএনপির বড় বড় মন্ত্রীদের সংশ্লিষ্টতা আমরা দেখেছি। বিএনপির অপকর্ম ও দুর্নীতির কারণেই তাদের শাসন আমলের পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছরই বাংলাদেশ লজ্জাজনকভাবে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে দেশ পরিচালনা করছেন। সে কারণে দুর্নীতিদমন কমিশনকে শক্তিশালী করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি বা অনিয়ম যেগুলো হচ্ছে সেটির বিরুদ্ধে বর্তমানে ঢাকা শহরে অভিযান চলছে, চট্টগ্রামেও শুরু হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে এসব তারই বহিঃপ্রকাশ। সরকারের এই প্রশংসনীয় কাজের জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সরকারকে অভিনন্দন জানানো উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

 

চট্টগ্রাম/রেজাউল/সনি