সারা বাংলা

আবরারের বাড়ির ঘটনার ব্যাখ্যা দিলো পুলিশ

বুয়েটে হত‌্যার শিকার আবরার ফাহাদের বাড়িতে সমবেদনা জানাতে গিয়ে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন বুয়েট উপাচার্য প্রফেসর সাইফুল ইসলাম।

সে সময় পুলিশের হাতে মারধরের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ। পুলিশের পক্ষ থেকে সে ঘটনার ব‌্যাখ‌্যা দেয়া হয়েছে।

বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গায় আবরারের গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে পুলিশ নিজেদের অবস্থান ব‌্যাখ‌্যা করতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে সাংবাদিকদের একটি মেইল প্রদান করেন।

কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অদ্য ০৯/১০/২০১৯ খ্রি: তারিখ বিকাল ১৬:৩০ ঘটিকায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি অধ্যাপক জনাব সাইফুল ইসলাম কুষ্টিয়ায় উপস্থিত হয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সেক্রেটারি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নিহত আবরার ফাহাদ এর হ্রাসের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার রায়ডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে পৌঁছান।

সেখানে আবরার ফাহাদের দাদা, বাবা, চাচা ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে নিয়ে আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন। কবর জিয়ারত শেষে তার বাবা ও আত্মীয়-স্বজনের সাথে সাক্ষাৎ করে ভিসি মহোদয় ঢাকায় ফিরে যান। কিন্তু কিছু মহল এ ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে যে, পুলিশের সাথে স্থানীয় গ্রামবাসীর সংঘর্ষ ঘটেছে। এরকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এ ধরনের ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করা অনাকাঙ্খিত ও অনাভিপ্রেত।’

তবে এলাকাবাসী জানান, আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত শেষে উপাচার্য মহোদয় তাদের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু স্থানীয়রা তাকে বাধা দেয়। সে সময় ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ উপাচার্য মহোদয়কে তির্যক প্রশ্ন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করে পুলিশ। সে সময় আবরারের ভাবিসহ কয়েকজন নারীও আহত হন বলে অভিযোগ করেন ফায়াজ।

ফায়াজের দাবি, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান তাকে মারধর করেছেন। কুষ্টিয়া/কাঞ্চন কুমার/সনি