সারা বাংলা

‘অপরাজনীতি চাই না’

‘ছাত্র রাজনীতি চলতে পারে। কিন্তু এ ধরনের অপকর্ম না ঘটুক। আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজনীতির দোষ না। রাজনীতির নাম দিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের অপরাজনীতি চাই না। ’

আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ছাত্র রাজনীতি বন্ধের প্রশ্নে এমন মন্তব্য করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকসমাজ। বৃহস্পতিবার সিনেট ভবনের সামনে পৃথক কর্মসূচিতে এ মন্তব‌্য করেন তারা।

তারা বলেন, ‘এদেশের ইতিহাসে ছাত্রসমাজের উজ্জ্বল ভূমিকা আমরা জানি। তাদেরকে পড়াশোনা করতে হবে। তারা নিজের স্বার্থে রাজনীতি করবে। রাজনীতির নামে লেজুড়বৃত্তি করবে না।’

এদিকে, দুর্নীতিবাজ অ্যাখ্যা দিয়ে রাবি প্রশাসনের অপসারণ দাবি করেছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।

মানববন্ধনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘দুর্নীতি সরকারের সব সেক্টরে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ছেলে জামাইয়ের সাথে টাকা ভাগাভাগি করে, এটা ভাবা যায়? আবার সেই ভিসি তার নিজ পদে এখনও বর্তমান। সরকার তার ব্যাপারে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি তার শিক্ষার্থীর কাছে চাকরি দেয়ার নামে 'মা, কত টাকা দিতে পারবা?'- বলে প্রশ্ন করেন। এর চেয়ে লজ্জাজনক কাজ পৃথীবিতে আছে কি না আমার জানা নেই।’

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি সাইফুল সাইফুল ইসলাম ফারুকী বলেন, ‘আজকে মানুষের মত প্রকাশের অধিকার নেই। আর যদি থাকত আবরারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হত না। সরকারের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সরকারের সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ কী না করছে! প্রত্যেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীর কাছে ত্রাস। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, লুটপাট লেগেই আছে। আর এটার মদদ দিচ্ছে সরকার দলীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’

এ ছাড়া আবরার হত্যার বিচার, অপরাজনীতি, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন চেয়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি, লাল কার্ড প্রদর্শন, মৌন মিছিল ও শোক র‌্যালি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠন।

এদিকে আবরারের স্মরণে শোক র‌্যালি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে আবরার হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়/শাহিনুর খালিদ/সনি