সারা বাংলা

বান্দরবানে সড়ক বিহীন ব্রিজ নিয়ে দুর্ভোগ

বান্দরবানের লামায় গজালিয়া ইউনিয়নের রেমং মেম্বার পাড়া সংলগ্ন ফারাঙ্গা খালের ওপর নির্মিত হয়েছে ব্রিজটি। ব্রিজটির নির্মাণ ব‌্যায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা। কিন্তু ব্রিজের দুপাশের রাস্তায় মাটি নেই। এজন‌্য মানুষের কোনো কাজেই আসছে না ব্রিজটি। বরং ব্রিজটি মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে।

২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ব্রিজটি নির্মাণ করে। কিন্তু ব্রিজের উভয় পাশে মাটি ভরাট করেনি। গাইডওয়ালও নেই। সেজন‌্য সুবিধার পরিবর্তে এখন সেটি তিন শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ পাঁচ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষা মৌসুমে খালের পানির স্রোতের টানে ব্রিজের উভয় পাশ থেকে মাটি সরে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্রিজের উভয় পাশে গাইডওয়াল নির্মাণসহ উঁচু করে মাটি ভরাটের জোর দাবি জানান ভুক্তভোগী পাঁচ গ্রামের বাসিন্দারা।

রেমং মেম্বার পাড়ার কারবারী মং মং মার্মা অভিযোগ করে জানান, ব্রিজটি নির্মাণের ছয় মাস পর খালের পানির স্রোতে দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেসে যায়। যে কারণে ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না, ফলে স্থানীয়দের কষ্টের শেষ নেই।

সূত্রে জানা যায়, লামার দুর্গম পাহাড়ি রেমং মেম্বার পাড়ার পশ্চিম পাশে রয়েছে ফারাঙ্গা নামের একটি খাল। এ খাল পাড়ি দিয়েই রেমং মেম্বার পাড়াসহ আশপাশের পাঁচ গ্রামের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে হয়। এ খাল পার হয়েই স্থানীয়দের ইউনিয়ন ও উপজেলা সদর, পাশের আজিজনগর ইউনিয়নসহ চকরিয়া, লোহাগাড়া উপজেলায় বিভিন্ন কাজে যেতে হয়। বর্ষা মৌসুমে পানিতে ভরপুর থাকে খালটি। তাই শুস্ক মৌসুমে এ খাল পাড়ি দিয়ে কোনোমতে যাতায়াত করা গেলেও, বর্ষা মৌসুমে তা মোটেই সম্ভব হয় না।

স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে পানি বৃদ্ধি পেয়ে রাস্তা ৩-৪ ফুট নিচে নেমে যায়। ব্রিজের উভয় পাশে মাত্র ৫০ গজ রাস্তায় মাটি দিলেই ব্রিজটি জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য উপযুক্ত হবে।

গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা জানান, কর্মসৃজন কর্মসূচির মাধ্যমে রেমং মেম্বার পাড়া সংলগ্ন ব্রিজটির উভয় পাশে মাটি ভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বর্ষায় পানির স্রোতের টানে তা ভেসে গেছে।

লামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মজনুর রহমান বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ফারাঙ্গা খালের ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। খালের পানির স্রোতের টানে মাটি সরে গেছে। প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রিজের উভয় পাশে মাটি ভরাট করে দেয়া হবে। বান্দরবান/এস বাসু দাশ/সনি