সারা বাংলা

বছরের পর বছর অপেক্ষার পরও...

বছরের পর বছর অপেক্ষার পরও মিলছে না ব্রিজ। এলাকাবাসী চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকো দিয়েই পার হচ্ছে নন্দকুঁজা নদী। ১০টি গ্রামের মানুষের পারাপারের ভরসা এই বাঁশের সাঁকো।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর ওয়াপদা বাজারের পাশে নন্দকুঁজা নদীতে এই সাঁকোটির অবস্থান। গুরুদাসপুর-সিংড়া এই দুই উপজেলাকে বিভক্ত করে রেখেছে নদী নন্দকূজা। একমাত্র এই সাঁকোটিই এখন দুই উপজেলার বন্ধন।

ব্রিজ না থাকায় বাঁশের সাঁকোতেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করতে হচ্ছে ১০ গ্রামের স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই পারাপার হয়ে আসছে সীমান্তবর্তী এই দুই উপজেলার মানুষ।

সরিজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নন্দকূজা নদীর গুরুদাসপুর অংশের ওয়াপদা বাজারে বসেছে হাট। সপ্তাহে দুই দিন এই হাটে সীমান্তবর্তী দুই উপজেলার হাজারো মানুষের সমাগম হয়েছে। গুরুদাসপুর অংশে শ্যামপুর, কুঠিপাড়া, চন্দ্রপুর, ঠাকুরপাড়া, ময়মনসিংহ পাড়া এবং সিংড়া অংশের মাটিকোবা, শালিখা, চামারি,  মন্ডলপাড়া, টলটলিপাড়ার মানুষরা এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে।

সেতু পরিচালনা কমিটির ক্যাশিয়ার মোঃ আকতার হোসেন বলেন, ‘ছোট বেলা থেকে কেবল শুনে আসছি এখানে একটি ব্রিজ হবে। কিন্তু তা হচ্ছে না। আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত, চলাফেরা, হাটে পণ্য আনা-নেওয়ায় অনেক কষ্ট হয়। অসুস্থ্য রোগীকে সময়মত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তাই আমরা এলাকাবাসী মিলে নিজেদের চাঁদার টাকায় এই বাঁশের সাকোটি তৈরি করেছি।’

সেতু পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ শাজাহান আলী বলেন, ‘এই এলাকায় একটি ব্রিজ না হওয়ায় আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। চলাচলের জন্য এলাকাবাসীর চাঁদার টাকা প্রায় ১ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা এবং ৫০০ বাঁশ সংগ্রহ করে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। তারপরও প্রতি বছর সংস্কার করতে ব্যয় হয় প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা। অতি দ্রুত এখানে একটি ব্রিজ দরকার।’

নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু বলেন, ‘ওই জায়গাতে ব্রিজ নির্মাণ অতি প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ব্রিজ নির্মাণের জন্য আবেদন করা হয়েছে।‘

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রকৌশলী আ.ন.ম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

নাটোর/আরিফুল ইসলাম জোসেফ/টিপু