সারা বাংলা

কারা হচ্ছেন খুলনা নগর ও জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী দলের অভ্যন্তরে শুদ্ধি অভিযান চলছে। এর ঢেউ খুলনা মহানগর ও জেলায় আওয়ামী লীগেও লেগেছে। এ কারণে নগর ও জেলায় এবার নতুন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব কাদের দেওয়া হবে- তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।

আগামী ৭ ডিসেম্বর দলের মহানগর এবং ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করতে সময় বেঁধে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মোস্তফা রশিদী সুজার মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী। আগামী সম্মেলনে জেলার সাধারণ সম্পাদক কে হবেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। এই পদে অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী ছাড়াও সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল ও আক্তারুজ্জামান বাবু (এমপি), বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল আলম খান, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অসিত বরণ বিশ্বাস প্রমুখ।

অপরদিকে, নগর আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মিজানুর রহমান মিজান তার পদ ধরে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এছাড়া দুদকে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান রয়েছে। ফলে দলের ভিতরে তিনি ও তার অনুসারীরা কিছুটা চাপের মধ্যে রয়েছেন। নগর সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ছাড়াও মহানগরে আগ্রহী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন যুগ্ম সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, আশরাফুল ইসলাম ও আবুল কালাম আজাদ কামাল, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আলী প্রমুখ।

দলীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের মহানগর সভাপতি, কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও জেলা সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ প্রবীণ নেতা। তাদের বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি না হওয়ায় এই পদে পরিবর্তন না আসার সম্ভাবনা বেশি। এ কারণে সম্মেলনকে ঘিরে সভাপতি পদ নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের নীরবতা কাজ করছে। তবে, নগর ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন অনেকেই।

দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দু’জনই প্রবীণ নেতা। এখন পর্যন্ত তাদের বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি হয়নি। তাই এই দুই পদে পরিবর্তন নাও হতে পারে। তবে এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।’

মহানগর ও জেলার সাধারণ সম্পাদক পদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মোস্তফা রশিদী সুজার মৃত্যুর পর জেলার কেউই নিজেকে তেমন যোগ্য করে গড়ে তুলতে সক্ষম হননি। ফলে জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে কাকে দেওয়া হবে তা এখনই বলা যায় না। আর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও প্রধানমন্ত্রী নিজে নিবেন।’

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে তালুকদার আব্দুল খালেক সভাপতি ও মিজানুর রহমান মিজান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। প্রায় দুই বছর পর ২০১৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

অপরদিকে, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে শেখ হারুনুর রশিদ সভাপতি ও এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর ৯ মাস পর ২৭ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

 

খুলনা/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/শাহেদ